Narendra Modi: প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে যাত্রা শুরুর ২২ বছর পূর্ণ মোদীর
PM Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার আগে নরেন্দ্র মোদীর উদ্ধৃতি আজও অবিস্মরণীয়। তিনি বলেছিলেন, "জনগণের শক্তির মধ্যেই আমাদের শক্তি নিহিত। আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যেই আমাদের শক্তি নিহিত রয়েছে।"
নয়া দিল্লি: আজ, ৭ অক্টোবর। ২২ বছর আগে, ২০০১ সালে এই দিনেই গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী (Gujarat CM) হিসাবে প্রথমবার শপথ গ্রহণ করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রথম থেকেই তিনি গণতান্ত্রিকতায় বিশ্বাসী। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার প্রথম দিন থেকেই তিনি বলতেন, জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার আগে তাঁর উদ্ধৃতি আজও অবিস্মরণীয়। তিনি বলেছিলেন, “জনগণের শক্তির মধ্যেই আমাদের শক্তি নিহিত। আমাদের দেশের প্রত্যেক নাগরিকের মধ্যেই আমাদের শক্তি নিহিত রয়েছে।”
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাটের উপ-বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। এই জয়ই সাধারণ মানুষের ক্ষমতার প্রতি তাঁর বিশ্বাস দৃঢ় করেছে। আরএসএস কর্মী থেকে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদী। তারপর ২০০২ সালে উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মসনদ পাকা করেন। এরপর ২০০৭ ও ২০১২ নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর ৩ বার গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়াদ পূর্ণ করেন মোদী। তারপর ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথমবার দাঁড়িয়েই জয়ী হন এবং প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। এবার ২০২৪-এর নির্বাচনে জয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবেও হ্যাটট্রিক করবেন মোদী।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পরই নরেন্দ্র মোদীর ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে এক নতুন যুগের সাক্ষী হয় ভারতবাসী। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নাগরিকের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে উপলব্ধি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তাই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে তিনি প্রথম থেকেই নাগরিকদের অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার উপর জোর দেন। আর এই প্রকল্পের নাম ‘জনভাগীদরি প্রকল্প’। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে যেমন জন ভাগীদারি প্রকল্পের অংশ হিসাবে নদী উৎসব, বিকাশ উৎসব, খাদি উৎসব, কৃষি উৎসবের মতো একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেন। এমনকি ‘বেটি বাঁচাও’ প্রচারও করেন। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হয়েও মহিলাদের ক্ষমতায়নে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’, ‘উজ্জ্বলা যোজনা’র মতো প্রকল্পের সূচনা করেন। এছাড়া ‘মন কি বাত’, ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’, ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মতো উদ্যোগের মাধ্যমে দেশবাসীকে একসূত্রে গাঁথার অনবদ্য প্রয়াস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যা বিশ্বের দরবারেও প্রশংসিত হয়েছে।
আবার করোনা মহামারীর সময় দেশজ কোভিড ভ্যাকসিন প্রস্তুত থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ গড়ে তোলার প্রয়াসের মাধ্যমে দেশ এক অন্য মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ গঠনের লক্ষ্যে তিনি যে ইউপিআই সিস্টেম চালু করেছেন, বর্তমানে সেটা বিশেষ জনপ্রিয়। আবার নয়া দিল্লিতে আয়োজিত জি-২০ সামিটেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৫ কোটির বেশি ছাত্র, যুব অংশগ্রহণ করেন, যা জন ভাগীদারির অংশ। অর্থাৎ সরকারের যে কোনও কাজে সার্বিকভাবে জনগণের অংশগ্রহণ ও তার মাধ্যমে দেশকে উন্নীত করে তোলাই নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসনের লক্ষ্য।