PM Narendra Modi: বাতিল হবে পুরনো ফাইল, অক্টোবরে মধ্যেই মেটাতে হবে জনগণের যাবতীয় অভিযোগ, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
PM Modi directs clearance of pending Grievances & Assurances: স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, পুরনো নিয়মগুলির নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনও আনতে হবে। এরপরই প্রতিটি সরকারি দফতরকে জমে থাকা ফাইল সাফাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি: থরে থরে সাজানো ফাইলই সরকারি অফিসের চেনা চিত্র। তবে সেই দৃশ্য় আর হয়তো দেখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই যাবতীয় পড়ে থাকা অভিযোগ (Grievance) মিটিয়ে ফেলতে হবে। সংসদ(Parliament)-র যাবতীয় কাজও শেষ করতে হবে এই সময়ের মধ্যেই। সাংসদদের দেওয়া হয়েছে একই নির্দেশ। কারণ, অক্টোবর মাস শেষ হলেই পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় ফাইলের সাফাই শুরু করবে সরকার।
১৩ সেপ্টেম্বর থেকেই সমস্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রক, বিভাগ ও তার অধীনে অফিসগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাবতীয় ফাইল ঘেঁটে কী কী কাজ বাকি রয়েছে, তা চিহ্নিত করে দ্রুত সেই কাজে লেগে পড়া এবং পুরনো ও অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলিকে সরিয়ে ফেলা।
এই কাজের পাশাপাশিই সমস্ত মন্ত্রকে জানানো হয়েছে কী কী নিয়ম ও পুরনো অর্ডার রয়েছে, যা সরকারি কাজে অতিরিক্ত সময় ব্য়য় করায়। এই ধরনের নিয়মগুলিকে পর্যালোচনা করে কীভাবে অপ্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বোঝা কমানো যায়, সে বিষয়েও পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে, পুরনো নিয়মগুলির নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তনও আনতে হবে। এরপরই প্রতিটি সরকারি দফতরকে জমে থাকা ফাইল সাফাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অবধি অভিযোগ মেটানো, বকেয়া কাজ শুরু করার সময় দেওয়া হয়েছে। আগামী ২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পুরনো ফাইল ঝাড়াই-বাঝাই ও তা বাতিল করার কাজ। গান্ধীজয়ন্তীতে দেশজুড়ে যে স্বচ্ছতা অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তার প্রেক্ষিতেই ওই দিন থেকে সরকারি দফতরগুলিও সাফাইয়ের কাজ শুরু হবে।
বাকি পড়ে থাকা সমস্ত বিষয়গুলি নিষ্পত্তির পাশাপাশি মন্ত্রীপরিষদের সচিবের নির্দেশিকায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সমস্ত মন্ত্রকগুলিতে রেকর্ড সংগ্রহ করে রাখার নিয়মগুলি পর্যালোচনা করতে হবে। প্রয়োজনীয় রেকর্ডগুলি যাতে অকালে ধ্বংস না হয়ে যায় বা সেগুলি প্রয়োজনীয় সময়সীমার অতিরিক্ত সংগ্রহ করে রাখা না হয়, সেই দিকটিও পর্যালোচনা করতে হবে। বাতিল হয়ে যাওয়া বা অপ্রয়োজনীয় ও অপ্রচলিত বস্তুও নষ্ট করে ফেলার জন্য চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করতে হবে।
প্রতিটি সংসদ অধিবেশনের সময়ই প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদরা নানা প্রশ্ন প্রশ্ন করেন এবং মন্ত্রী ও সরকারের তরফে সেই প্রশ্নের জবাবে সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, অক্টোবর মাসের মধ্য়েই যাবতীয় কাজ শেষ করতে হবে, কোনও আশ্বাস বা প্রতিশ্রুতি যেন অপূর্ণ না থাকে। চলতি বছরেই সরকারের নতুন নিয়মে কোনও সমস্য়া বা অভিযোগের জবাব দেওয়ার জন্যে নির্দিষ্ট সময়সীমা ৬০ দিন থেকে কমিয়ে ৪৫ দিন করা হয়েছে।