Narendra Modi: ২৫ বছর আগেও কার্গিল যুদ্ধের হিরোদের মনোবল বাড়িয়েছিলেন মোদী, সামনে এল ‘না বলা সেই কাহিনি’

Kargil Vijay Diwas: কার্গিল যুদ্ধের পর আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উধমপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক নরেন্দ্র মোদী।

Narendra Modi: ২৫ বছর আগেও কার্গিল যুদ্ধের হিরোদের মনোবল বাড়িয়েছিলেন মোদী, সামনে এল 'না বলা সেই কাহিনি'
কার্গিল যুদ্ধের জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করেন নরেন্দ্র মোদী।Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Jul 26, 2024 | 1:16 PM

নয়া দিল্লি: আজ ২৫তম কার্গিল দিবস (Kargil Vijay Diwas)। দেশের শহিদ জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লাদাখের দ্রাসে যান এবং কার্গিল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পাকিস্তানকে। প্রতি বছরই কার্গিল বিজয় দিবস পালন করা হয়। তবে জানেন কি, কার্গিল যুদ্ধের সময়ও সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সময় তিনি কীভাবে সেনা জওয়ানদের মনোবল বাড়িয়েছিলেন, তারই বর্ণনা দিলেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বিজয় জোশী।

কার্গিল যুদ্ধের পর আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। উধমপুরের কম্যান্ড হাসপাতালে সেনাদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক নরেন্দ্র মোদী। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল বিজয় জোশী সেই সফর প্রসঙ্গে বলেন, “নরেন্দ্র মোদীর সফর জওয়ানদের জোশ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওই কঠিন সময়েও মোদীর উপস্থিতি জওয়ানদের উপরে এক শান্তির অনুভূতি এনেছিল। প্রত্যেক জওয়ানের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। কার্গিল যুদ্ধে বহু সেনার মৃত্যু হয়েছিল, বহু জওয়ান আহত হয়েছিলেন। মোদী প্রত্যেকের দিকে নজর দিয়েছিলেন। উনি নিজে শান্ত ছিলেন, তবে তাঁর মধ্যে জোশ বা এনার্জি ভরপুর ছিল।”

তিনি বলেন, “সেনাদের সঙ্গে ওর (নরেন্দ্র মোদী) আত্মস্থ করার ক্ষমতা অসাধারণ ছিল। যখন মোদী তাঁদের পরিবার, বাড়ি থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রয়োজন সম্পর্কে খোঁজখবর নেন, তখন ওরা স্বস্তি বোধ করেছিল। ওঁর কথা বলার ভঙ্গির মধ্যে একটা আপন অনুভূতি ছিল, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।”

মেজর জোশী জানান, শুধু আহত সেনা জওয়ানদেরই নয়, হাসপাতালের কর্মীদেরও খোঁজ নিয়েছিলেন মোদী। কোনও প্রশাসনিক পদে না থাকা সত্ত্বেও, তিনি যেভাবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সঙ্গে গিয়েছিলেন এবং যুদ্ধ স্থল থেকে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন, তা দেখে সকলে মুদ্ধ হয়েছিলেন।  তিনি বলেন, “সেনাদের মনোবল জোগাতে জাতীয় সমর্থনের এই মনোভাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ও দেশের মানুষ যে কঠিন সময়েও তাদের পাশে রয়েছেন, এটা বীর জওয়ানদের কর্তব্যে নিজেদের সেরাটা দিতে উদ্বুদ্ধ করে।”