PM Narendra Modi: ‘মুসলিমদের শংসাপত্র দিতে পিছনের দরজা দিয়ে খেলা শুরু করে ওরা’, ভোটের শেষ লগ্নে OBC সার্টিফিকেট নিয়ে বোমা ফাটালেন মোদী
PM Narendra Modi: হাই কোর্ট বলছে, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি। আর এখানেই মোদী সরকারি ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিরই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “সব থেকে বড় বিষয় হল, এত বড় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার পরও তিনি এখন বিচারব্যবস্থা, বিচারপতিদেরও গালি দিচ্ছেন। এমনও বলছেন, যা হয়ে যাক, তিনি নাকি আদালতের নির্দেশ মানবেন না।”
নয়া দিল্লি: ভোটের আবহের মধ্যেই তৃণমূল জমানায় দেওয়া রাজ্যের সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে কলকাতা হাই কোর্ট। আর তা নিয়ে সোচ্চার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বলেছেন, তিনি এই নির্দেশ মানেন না। আর তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বিচারপ্রক্রিয়া প্রভাবিত। নাম না করে তিনি বলেছিলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারীকে যে বিচারপতি রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন, তিনিই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে।’ আর বঙ্গে এসে বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাল্টা তোপ দেগেছেন ‘ভোট রাজনীতির অঙ্ক’ করছে তৃণমূল। ভোটের আবহে শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। এবার এক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই ইস্যুতেই মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
OBC রায়কে হাতিয়ার তিনি আবারও তৃণমূলকে নিশানা করেন। ২০১০ সালে একটি অন্তর্বর্তী রিপোর্টের ভিত্তিতে ‘অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি’ তৈরি করে বামফ্রন্ট সরকার। ২০১১সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। অভিযোগ, তৃণমূল ওই শ্রেণি সংক্রান্ত চূড়ান্ত রিপোর্ট ছাড়াই একটি তালিকা তৈরি করে, আইন প্রণয়ন করে। আর তার বিরুদ্ধেই মামলা হয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মোদী বলেন, “একটা মোডাস অপারেন্ডি রয়েছে। প্রথমে ওরা আইন বানিয়ে সংখ্যালঘুদের শংসাপত্র দেওয়া শুরু করে। সুপ্রিম কোর্টে মামলা হেরে যান। হাইকোর্ট প্রত্যাখ্যান করে দেয়। কারণ এই নিয়ম তো সংবিধানে নেই।” এর পিছনে বড় অভিসন্ধির কথাও উল্লেখ করেন মোদী। তিনি বলেন, “তাঁরা পিছনের দরজা দিয়ে খেলা শুরু করেছিল। রাতারাতি মুসলিমদের সকলকে OBC বানিয়ে দেয়। OCB শংসাপত্র পাওয়ায় যাঁরা যোগ্য, তাঁরা তাতে বাদ পড়ে যান। হাইকোর্টের নির্দেশের পর বোঝা যায়, কত বড় মিথ্যা হচ্ছিল এদিন।”
হাই কোর্ট বলছে, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি। আর এখানেই মোদী সরকারি ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতিরই অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “সব থেকে বড় বিষয় হল, এত বড় ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করার পরও তিনি এখন বিচারব্যবস্থা, বিচারপতিদেরও গালি দিচ্ছেন। এমনও বলছেন, যা হয়ে যাক, তিনি নাকি আদালতের নির্দেশ মানবেন না।”
অনগ্রসর শ্রেণিভুক্তদের সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তা-ই হল ওবিসি সার্টিফিকেট। হাই কোর্ট বলছে, ২০১০ সালের পরে যে সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট তৈরি করা হয়েছে, তা যথাযথ ভাবে আইন মেনে বানানো হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশে রাতারাতি বাতিল হয়েছে পাঁচ লক্ষ ওবিসি রয়েছে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তিনি শংসাপত্র বাতিল হতে দেবেন না।