AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মোদীর সঙ্গে ‘ফলপ্রসূ আলোচনা’ বাইডেনের, কথা হল টিকার কাঁচামাল সরবরাহ নিয়েও

সোমবার ভারতীয় সময় রাত ১০ টা নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয় মোদীর। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সবরকম ভাবে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন।

মোদীর সঙ্গে 'ফলপ্রসূ আলোচনা' বাইডেনের, কথা হল টিকার কাঁচামাল সরবরাহ নিয়েও
ছবি- টুইটার
| Updated on: Apr 26, 2021 | 11:01 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সূত্রের খবর, সোমবার ভারতীয় সময় রাত ১০ টা নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয় মোদীর। কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে সবরকম ভাবে ভারতের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বাইডেন। একই সঙ্গে কোভিশিল্ডের কাঁচামালের সরবরাহও নিরবচ্ছিন্ন রাখার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রবিবার রাতেই কোভিশিল্ড তৈরির জন্য কাঁচামালে ছাড়পত্র দেয় আমেরিকা। তারপরই ফোনে কথা হয় দুই রাষ্ট্রনেতার।

বাইডেনের সঙ্গে কথা হওয়ার পরই বিষয়টি টুইট করে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি লেখেন, “আজ রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশেরই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তারে কথা বলেছি। আমেরিকার পক্ষ থেকে করা সাহায্যের জন্য় ধন্যবাদ জানাই রাষ্ট্রপতি বাইডেনকে। ভ্যাকসিন এবং ওষুধ তৈরির জন্য কাঁচামালের সরবরাহের প্রয়োজনীতা নিয়েও কথা হয়েছে। ভারত ও আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ভাগিদারী গোটা বিশ্বের কোভিড চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারে।”

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেতে জানানো হয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে ভারতের এই লড়াইয়ে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে আমেরিকা। জরুরি ভিত্তিতে অক্সিজেন তৈরির সামগ্রী, ভ্যাকসিনের কাঁচামাল এবং ভেন্টিলেটর পাঠানো হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রীও পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: লাল ফিতের ফাঁস খুললেন বাইডেন, কোভিশিল্ড তৈরির কাঁচামালে ছাড়পত্র আমেরিকার

যদিও সপ্তাহখানেক আগে এতটা মসৃণ ছিল না দুই দেশের সম্পর্ক। কোভিশিল্ড তৈরির কাঁচামাল যা মূলত আমেরিকা থেকেই আমদানি করতে হয় তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছিল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সরকারের জন্য দেশের মানুষ বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের স্বার্থে ক্ষতি করে ভারতকে কাঁচামাল দেওয়া যাবে না। আগে নিজেদের প্রয়োজন পূরণ হবে, তারপর ভারত পাবে। এই নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ মহলে চাপানউতোর চলছিল।

অন্যদিকে ভারতের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করে। প্রত্যেকদিন সাড়ে ৩ লক্ষের কাছাকাছি আক্রান্ত, আড়াই হাজার ছুঁইছুঁই মৃত্যু। এমন কঠিন অবস্থায় একের পর এক দেশ সাহায্যের হাত বাড়াতে শুরু করে। জার্মানি, ইংল্যান্ড এমনকি পাকিস্তান পর্যন্ত পাশে দাঁড়াতে চায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় আর হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেননি বাইডেন। রবিবারই কাঁচমাল সরবরাহের উপর থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: টিকার দাম কমানো হোক আমজনতার স্বার্থে, দুই প্রস্তুতকারী সংস্থাকে আর্জি কেন্দ্রের