PM Modi: প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বেই নতুন গতি পেয়েছে বিমস্টেক
PM Modi: ১৯৯৭ সালে বিমস্টেক গঠন করা হয়। বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। ১৯৯৭ সালে গঠন করা হলেও ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ উদ্য়োগের পর এই গ্রুপ তৎপর হয়।

নয়াদিল্লি: বিশ্বমঞ্চে ক্রমশ গুরুত্ব বাড়ছে ভারতের। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের মতামত গুরুত্ব দিয়ে শোনে অন্য দেশগুলি। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কিংবা পরিবেশরক্ষা নিয়ে আলোচনা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য অন্য মাত্রা যোগ করে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে ভারতের বিদেশনীতি ছিল সবার থেকে সমান দূরত্ব। আর এখন ভারত সবার সমান কাছে পৌঁছনোর নীতি নিয়েছে। মোদীর তেমনই একটি বিশেষ উদ্যোগে ফের তৎপর হয়েছে ‘বে অব বেঙ্গল ইনিসিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’ বা বিমস্টেক।
বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে থাইল্যান্ড গিয়েছেন মোদী। ১৯৯৭ সালে বিমস্টেক গঠন করা হয়। বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলি হল ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। ১৯৯৭ সালে গঠন করা হলেও ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ উদ্য়োগের পর এই গ্রুপ তৎপর হয়। ওই বছর গোয়ায় ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলিকে এক জায়গায় নিয়ে আসেন। তারপরই বিমস্টেকের কার্যকারিতা বাড়াতে পদক্ষেপ করেন তিনি। ২০১৯ সালে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রনেতাদের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
ভারতের নেতৃত্বে এখন পূর্ণ আস্থা রয়েছে বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির। প্রতিবেশী প্রথম নীতিতে নজর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিমস্টেকের সেক্রেটারিয়েট অনেক বছর আগেই তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু, তা প্রকৃত ‘উড়ান’ নিয়েছে ২০২৪ সালের মে মাসে। ভারতের কূটনীতিক ইন্দ্রমণি পান্ডে মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। বিমস্টেকের উদ্দেশ্য গতি পায়। বিমস্টেকের সেক্রেটারিয়েটের উন্নতির জন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দেয় ভারত।
এই খবরটিও পড়ুন
বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের আয়োজন করে ভারত। আবার ভারতের উদ্য়োগেই ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে UNGA-র সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন বিমস্টেকের সদস্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা।
বিমস্টেকের সদস্যগুলির নিরাপত্তায় নেতৃত্ব দেয় ভারত। আবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে সদস্য দেশগুলির সাংস্কৃতিক আদানপ্রদানেও নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে।





