Bulandshahr Murder Case: ৩১ টুকরো করে খুনের বদলা নিতে ৩১ টি গুলি! পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Murder Case: তদন্তে নেমে পুলিশের একটি পুরনো খুনের মামলার কথা জানতে পারে। ওই খুনের ঘটনায় মৃত চিকিৎসকের ভাই রাগিব দাসনা জড়িত ছিল।
বুলন্দশহর: প্রতিশোধস্পৃহা মানুষকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। এই রকম একাধিক উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু প্রতিশোধ চরিতার্থ করতে একজন ব্যক্তিকেই গুলিতে ঝাঁঝরা করার বিরল নজির খুবই কমই রয়েছে। উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহরে (Bulandshahr Murder Case) গত ৮ মে শাদাব নামের এক চিকিৎসককে তাঁর চেম্বারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা তাঁর চেম্বারে ঢুকে গুলি করে ওই চিকিৎসককে হত্যা করেছিল। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছিল যে ওই চিকিৎসককে মোট ৩১ টি গুলি করা হয়েছিল। প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছিল, পুরনো শত্রুতার জেরেই এই নির্মম হত্যাকাণ্ড। কিন্তু খুনের তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না যে কাউকে হত্যা করতে হলে এক বা দুটি গুলিই যথেষ্ট। কিন্তু তাসত্ত্বেও কেন ওই দুষ্কৃতীরা ওই চিকিৎসককে ৩১ টি গুলিতে বিদ্ধ করেছিল? এই প্রশ্নই বারবার তদন্তকারী আধিকারিকদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাদের মনে হচ্ছিল, এই ৩১ সংখ্যাটির পিছনে বিশেষ কোনও কারণ লুকিয়ে রয়েছে। এরপর তদন্তের আরও গভীরে গিয়ে পুলিশের হাতে যে তথ্য এসেছে, তাতে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তদন্তে নেমে পুলিশের একটি পুরনো খুনের মামলার কথা জানতে পারে। ওই খুনের ঘটনায় মৃত চিকিৎসকের ভাই রাগিব দাসনা জড়িত ছিল। খুনের অভিযোগে রাগিব এখন জেলে বন্দি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হাপুরের বাসিন্দা ইরফান নামের এক মৃত ব্যক্তির কথা জানতে পারে। পুলিশে হাতে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য, জানা যায় ১৮ মার্চ ইরফানকে খুন করা হয়েছিল। খুনের বিবরণ শুনলে শিউরে উঠতে পারেন অনেকে। ইরফানকে খুন করার পর তাঁর দেহ ৩১ টুকরো করা হয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় রাগিব প্রধান অভিযুক্ত ছিল। এই নৃশংস খুনের পর ইরফানের শ্যালক কাসিফ প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিল। বদলা নেওয়ার জন্য শাদাব নামের ওই চিকিৎসককে খুনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে এবং কয়েকজন শার্প শ্যুটারকে খুনের ‘সুপারি’ দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী শাদাবকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। জামাইবাবুর দেহ ৩১ টুকরো করার বদলা নিতে ৩১ টি গুলি ক্ষতবিক্ষত করে দেয় শাদাবের শরীর। খুনের পরই কাসিফ পলাতক, তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।