Enforcement Directorate: কিসমে কিতনা হ্যায় দম… ভারতের মতো এরা হল আমেরিকার ‘ইডি’

ED: রাজনীতির একের পর এক রথী-মহারথী যখন গ্রেফতার হচ্ছে ইডির হাতে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আম জনতা মনে প্রশ্ন জাগে, ইডির হাত কতটা লম্বা? কতটা ক্ষমতাধর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা এই এজেন্সির যাবতীয় তদন্ত আর্থিক বেনিয়ম ও তছরুপ সংক্রান্ত। আপনি কি জানেন, ভারতের মতো মার্কিন মুলুকেও একটি তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে, যারা এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করে।

Enforcement Directorate: কিসমে কিতনা হ্যায় দম... ভারতের মতো এরা হল আমেরিকার 'ইডি'
ইডি ও ফিনসেনImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Updated on: Mar 24, 2024 | 8:00 AM

নয়া দিল্লি: আবগারি দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও সিটিং মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হলেন, তাও আবার ইডির হাতে। চলতি বছরেই জানুয়ারিতে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। গ্রেফতারির ঠিক আগের মুহূর্তে নিজের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন হেমন্ত। এ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করছেন। তাবড় রথী-মহারথীদের গ্রেফতারির এমন আরও অনেক উদাহরণ রয়েছে ইডির।

রাজনীতির একের পর এক রথী-মহারথী যখন গ্রেফতার হচ্ছে ইডির হাতে, তখন স্বাভাবিকভাবেই আম জনতার মনে প্রশ্ন জাগে, ইডির হাত কতটা লম্বা? কতটা ক্ষমতাধর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট? অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা এই এজেন্সির যাবতীয় তদন্ত আর্থিক বেনিয়ম ও তছরুপ সংক্রান্ত। আপনি কি জানেন, ভারতের মতো মার্কিন মুলুকেও একটি তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে, যারা এই আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করে। এদের আপনি সহজ ভাষায় বলতেই পারেন আমেরিকার ‘ইডি’। যাদের পোশাকি নাম ফিনসেন (FinCEN)। পুরো নাম ফিনানশিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্ক। এই ফিনসেনের ক্ষমতা কতদূর? কতটা এক্তিয়ার রয়েছে এই আমেরিকার ‘ইডির’? জানতে চান?

ইডির হাত কত লম্বা

প্রথমেই আসার যাক ইডির বিষয়ে। মানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যারা কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব বিভাগের অধীনে কাজ করে। আর্থিক অপরাধ, বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ… এসবের তদন্তের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল ইডি। যখনই কোথাও কোনও আর্থিক বেনিয়ম কিংবা তছরুপের অভিযোগ ওঠে, সেই তদন্তের গুরুদায়িত্ব পড়ে ইডির উপর।

বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় আইন (FEMA) লঙ্ঘনের অভিযোগ হোক বা হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ কিংবা বৈদেশিক মুদ্রার ক্ষেত্রে কোনও বেনিয়মের অভিযোগ… এসবের তদন্ত করে ইডি। বিদেশে কারও কোনও সম্পত্তির উপর তদন্ত কিংবা বিদেশি কোনও সম্পত্তি কেনা সংক্রান্ত মামলারও তদন্ত করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তদন্তের স্বার্থে বেশ কিছু বড় বড় ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে ইডির হাতে। আইন অনুযায়ী, কোনও সন্দেহজনক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, কোথাও তল্লাশি চালানো এবং প্রয়োজনে গ্রেফতার করার অধিকার রয়েছে ইডির হাতে। এমনকী অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অধিকার দেওয়া রয়েছে ইডিকে। এখানেই শেষ নয়, কাউকে গ্রেফতার করার সময় ইডি ওই ব্যক্তিকে তদন্তের কারণ জানাবেন কি না, তাও নির্ভর করছে তদন্তকারী সংস্থার উপরেই। ইডির অফিসারের বক্তব্য আদালতের কাছে প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই ধরনের মামলায় একবার গ্রেফতার হলে দ্রুত জামিন পাওয়ার বেশ কঠিন বলেই মত আইনজ্ঞ মহলের।

আমেরিকার ‘ইডি’র ক্ষমতা কতটা

ফিনসেন বা ফিনানশিয়াল ক্রাইম এনফোর্সমেন্ট নেটওয়ার্কের কাজও অনেকটা ইডির মতোই। এরা মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের অধীনে কাজ করা একটি ব্যুরো। যারা আর্থিক তছরুপের তদন্ত করে এবং আর্থিক রেগুলেশনের অবৈধ প্রয়োগ ঠেকায়। এরা আমেরিকার আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্তের পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক আর্থিক তছরুপ, সন্ত্রাসবাদে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য আর্থিক অপরাধমূলক কাজকর্ম ঠেকাতে এরা বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে এবং সেগুলি বিশ্লেষণ করে।