Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

TET: ১৯৬ জনের চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

TET: কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল।

TET: ১৯৬ জনের চাকরি বাতিল করেছিল হাইকোর্ট, নির্দেশে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 11, 2023 | 12:29 PM

নয়া দিল্লি: শিক্ষকদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল মামলা। ২৩ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে যাঁরা মামলা করেছিলেন, মূলত তাঁদের আবেদনের উপরই সুপ্রিম কোর্ট এই চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট তিন দফায় মোট ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সুপ্রিম কোর্ট তার মধ্যে ১৯৬ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস ও বিচারপতি জে কে মাহেশ্বরীর বেঞ্চ সোমবার এই নির্দেশ দেন। বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে।

কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছিল। পরে ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল। এরপরই চাকরি হারানো শিক্ষক শিক্ষিকারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর আগের শুনানি হয়েছিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বিক্রম নাথের বেঞ্চে। সেই সময় হাইকোর্টের নির্দেশের সঙ্গে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করে এই বেঞ্চ।

জানতে চায়, কিসের ভিত্তিতে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হল? মামলাকারীরা আদালতে জানিয়েছিলেন, তাঁদের পার্টি পর্যন্ত করা হয়নি এই মামলায়। আদালত শুনানিতে তা নিয়েও জানতে চেয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে ডিভিশন বেঞ্চ কোনও বদল আনেনি। শুধু প্রাথমিক তথ্য় হিসাবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রত্যক্ষ জটিলতার (প্রতারণা) উল্লেখ করা হয়।

মূলত ২০১৪ সালে টেট পাশ করে ২০১৭ সালে চাকরি পেয়েছিলেন ২৬৯ জন। ২০২২ সালে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে সেই মামলার শুনানি হয়েছিল। ২৩ ডিসেম্বর ৫৩ জনের চাকরি বাতিল হয়, ৪ জানুয়ারি ১৪৩ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁরাই যান সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১২ এপ্রিল শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত অন্যান্য মামলার সঙ্গে এই মামলার শুনানি হবে।