Uttar Pradesh: বিমান বন্দর উদ্বোধনে যোগী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী

Airport, kushinagar, উত্তর প্রদেশ সরকারের মতে, নব নির্মিত এই বিমান বন্দর উদ্বোধনের ফল এখানে পর্যটকদের আগমন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এই বিমান বন্দর স্থানীয় স্তরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (AAI) সূত্রে খবর, ৩৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বিমান বন্দরটি বিস্তৃত।

Uttar Pradesh: বিমান বন্দর উদ্বোধনে যোগী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী
ইকোনমিক করিডর ছাড়াও দেরাদুনে ৭ টি নতুন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মধ্য বদ্রীনাথ ধামের যাত্রপথে ধস বিরোধী একটি প্রকল্পও রয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। ৫৮ নম্বর জাতীয় সড়কে লাম্বাগড়, সাকানিধর, শ্রীনগর এবং দেবপ্রয়াগে ধস প্রতিরোধের জন্য এই নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি: ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 19, 2021 | 3:17 PM

লখনউ: আগামীকাল, ২০ অক্টোবর কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর (Kushinagar International Airport) উদ্বোধনে উত্তর প্রদেশ (Uttar Pradesh) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের রাজ্যপাল আনন্দীবেন পটেল (Governor Anandiben Patel), মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (CM Yogi Adityanath) ও কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া (Minister Jyotiraditya Scindia) সহ অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার ছাড়পত্র মেলার পর এই সপ্তাহ থেকই কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে বিমান ওঠানামা শুরু হবে। দেশের দেশে আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীদের (Buddhist pilgrims) প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই তাদের সুবিধার্থে এই বিমান বন্দরটি তৈরি করা হয়েছে। কুশীনগর বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে একটি পুণ্য ভূমি হিসেবে পরিচিত। এই বিমান বন্দর থেকে উদ্বোধনী বিমানে ১২৫ জন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলোম্বোতে অবতরণ করবেন।

আরও পড়ুন Cyber Crime: সাহস কত! ইবি’র শীর্ষকর্তার প্রোফাইল ক্লোন করে ২০ লক্ষ টাকার প্রতারণা

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, পুণ্যভূমি মহাপরিনির্বাণ স্তূপে (Mahaparinirvana stupa) বৌদ্ধদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন। পর্যটন বিভাগ কুশীনগরে একটি পর্যটন প্রচারমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সেখানে বৌদ্ধদের ধর্মযাত্রার বন্দোবস্তকারী প্রধান ট্রাভেল এজেন্ট এবং ট্যুর অপারেটররা অংশগ্রহণ করবেন।

উত্তর প্রদেশ সরকারের মতে, নব নির্মিত এই বিমান বন্দর উদ্বোধনের ফল এখানে পর্যটকদের আগমন ২০ শতাংশ বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও এই বিমান বন্দর স্থানীয় স্তরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (AAI) সূত্রে খবর, ৩৬০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই বিমান বন্দরটি বিস্তৃত। আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় দর্শনার্থীদের চাহিদা যাবতীয় এবং তীর্থযাত্রার সুযোগের কথা মাথায় রেখেই আনুমানিক ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিমান বন্দরটি নির্মিত হয়েছে।

জানা গিয়েছে, কুশীনগর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের টার্মিনালে একসঙ্গে ৩০০ জন যাত্রী একত্রে থাকতে পারবেন। কুশীনগর একটি আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ তীর্থকেন্দ্র। এখানেই শ্রী গৌতম বুদ্ধ মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। সারনাথ, গয়া এবং লুম্বিনি সহ এই এলাকাটি জনপ্রিয় বৌদ্ধ তীর্থ কেন্দ্র হিসেবেই পরিচিত। বিমান বন্দরটি তৈরি হওয়ার ফলে, লুম্বিনি, বোধগয়া, সারনাথ, কুশীনগর, শ্রাবস্তি, রাজগীর, সানকিসার মত জায়গা গুলিতে যাতায়াত অনেক সহজ হবে এবং সময় ও অনেক কম লাগবে।

শ্রীলঙ্কা, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, চিন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুরের মত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল করার সম্ভাবনা থাকার ফলে এই দেশ গুলি থেকে অনেক বৌদ্ধ তীর্থযাত্রী এখানে আসবেন। ফলে পর্যটন ব্যবসার উন্নতির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বলা বাহুল্য, পর্যটন ব্যবসার উন্নতি হলে রাজ্য ও স্থানীয় অঞ্চলের আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটবে।

আরও পড়ুন উত্তপ্ত কাশ্মীর পরিস্থিতির মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অমিত শাহ