Chandni Chowk Bridge: চাঁদনি চক ব্রিজ উড়ল মাঝ রাতে, ১৩০০ ছিদ্র করে ঢালা হল ৬০০ কেজি বারুদ
Pune: মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়েতে ছিল এই চাঁদনি চক সেতু। পুণে ও বেঙ্গালুরুর সংযোগে এই সেতুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
পুণে: গত ২৮ অগস্ট নয়ডার টুইট টাওয়ারের মতো করেই এবার ‘ধ্বংস’ করা হল পুণের চাঁদনি চক এলাকার একটি বহু পুরনো সেতু। জেলা কালেক্টর রাজেশ দেশমুখ জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোরের মধ্যে এই সেতুটি ভাঙা হয়েছে। বিস্ফোরক এনে ঠিক যে ভাবে নয়ডার বহুল পরিচিত বিপজ্জনক টুইন টাওয়ার ভাঙা হয়েছিল। সেই ধাঁচেই এদিন ভাঙা হল সেতুটিও।
কীভাবে ধ্বংস করা হল এই সেতু?
শনিবার মাঝ রাতের এই ‘অপারেশন’-এ সেতুটির প্রায় ১৩০০ জায়গায় ড্রিলিং মেশিন দিয়ে ছিদ্র করে ৬০০ কিলো তরল বারুদ ঢেলে দেয়। ৩ হাজার ৫০০ কেজির কাছাকাছি বারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। সেতুর ১৩০০ জায়গায় ছিদ্র করার পাশাপাশি সেতুর স্তম্ভে প্রায় ৯ হাজার ৪০০টি গর্ত করা হয়। সেইসব গর্তও ভর্তি করা হয় তরল বারুদে। বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে এই সেতু থেকে ২০০ মিটার এলাকা পর্যন্ত পুরোপুরি খালি করে দেয় পুলিশ প্রশাসন। রাত ১১টা থেকেই কড়া নজরদারিতে ঘিরে ফেলা হয় এলাকা। ট্রাফিক অন্য রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।
২০০ মিটার দূরে রাখা ছিল ডেটোনেটর। ডেটোনেটরে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতেই ভয়ঙ্কর শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। পাঁচ সেকেন্ডে ধূলিসাৎ হয়ে যায় চাঁদনি চক ব্রিজ। ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পর রবিবার বেলার দিক থেকে ফের এই রাস্তায় ট্রাফিক স্বাভাবিক করে দেবে পুলিশ।
#WATCH | Maharashtra: Pune’s Chandni Chowk bridge demolished. pic.twitter.com/ZgV3U6TnDA
— ANI (@ANI) October 1, 2022
কোথায় এই চাঁদনি চক ব্রিজ?
মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়েতে ছিল এই চাঁদনি চক সেতু। পুণে ও বেঙ্গালুরুর সংযোগে এই সেতুর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পুণের এই সেতু ধ্বংসে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকা (ইনচার্জ) ইঞ্জিনিয়ার চিরাগ চড্ডা জানান, ৬০ জন দক্ষ মানুষ ড্রিলিং, মেটাল নেট বসানো, ধ্বংসস্থল ঘিরে রাখার দায়িত্বে ছিলেন। এই বিস্ফোরণ ঘটানোর সময় কোনও রকম গন্ধ যাতে না ছড়ায় সেদিকেও কড়া নজর ছিল তাঁদের। বহুদিনের পুরনো এই চাঁদনি চক সেতু। ‘মাল্টি লেভেল ফ্লাইওভার’ তৈরির লক্ষ্যেই পুরনো এই সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় ট্রাফিকের গতি আরও দ্রুত করতেই এই সিদ্ধান্ত।