Uttar Pradesh: বারবার বলার পরও সরায়নি রিক্সা, মাঝ রাস্তায় মুরগি বানিয়ে বসিয়ে রাখল পুলিশ
Uttar Pradesh: উত্তর প্রদেশের আলিগড় অত্যন্ত ব্যস্ত শহর। যত দিন যাচ্ছে এ শহরের ট্রাফিকের হাল আরও শক্ত হাতে ধরার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। নিত্যদিনই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা।
আলিগড়: বারবার পুলিশ বলেছিল মাঝরাস্তায় গাড়ি না দাঁড় করিয়ে রাখতে। কিন্তু কিছুতেই কথা শোনেননি ই-রিক্সা চালক। গাড়ি নিয়ে চার মাথার মোড় থেকে কিছুতেই নড়েননি। এরপরই ‘কড়া শাস্তি’ দিল পুলিশ। রিক্সা তো সরাতে হলই, পাশাপাশি মাঝ রাস্তায় মুরগি করে বসিয়ে রাখল পুলিশ। আলিগড়ের দেধপুর চৌরাস্তা। সেখানেই যাত্রী তুলবে বলে রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন চালক। কর্তব্যরত পুলিশ তাঁকে সরতে বললে শোনেননি। এরপরই শাস্তির মুখে পড়তে হয়। এই ঘটনার সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকের কাছে এমন পুলিশি পদক্ষেপ মোটেই সমর্থনযোগ্য বলে মনে হয়নি। তবে এসবের মধ্যে ওই রিক্সা চালককে বেশ বিব্রত হতে হয় প্রকাশ্য রাস্তায়।
উত্তর প্রদেশের আলিগড় অত্যন্ত ব্যস্ত শহর। যত দিন যাচ্ছে এ শহরের ট্রাফিকের হাল আরও শক্ত হাতে ধরার প্রয়োজন হয়ে পড়ছে। নিত্যদিনই বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। একইসঙ্গে পথচারীর সংখ্যাও বর্ধমান। সেসব দিক মাথায় রেখে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাকে মসৃণ করতে গত কয়েকদিনে আলিগড়ের জেলাধিকারী ইন্দ্রবিক্রম সিং ও পুলিশ কর্তা কলানিধি নৈথানি বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। এরইমধ্যে অন্যতম, কোনও কারণেই কোনও চৌরাস্তায় মোটর চালিত গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না।
শনিবার সিভিল লাইন্স থানার দেধপুরের চৌরাস্তায় পুলিশ কর্তার নির্দেশ মতোই কাজ করছিলেন পুলিশ কর্মীরা। সেই সময় ওই রিক্সাচালককে রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। দু’ তিনবার বলার পরও কথা শোনেননি চালক। এরপরই রিক্সাচালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাঝ রাস্তায় মুরগি করে বসিয়ে রাখেন। এরপরও কাজ না হলে শাস্তি যে আরও কঠিন হবে সে বার্তাও দেওয়া হয়েছে চালককে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা খারাপ হওয়ার পিছনে এই ই-রিক্সা বা টোটোগুলির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। যখন তখন যে কোনও জায়গা থেকে যাত্রী তোলেন এই গাড়ির চালকরা। মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রীও নামান। যার জন্য ব্যস্ত সময়ে প্রায়শই গাড়ির লম্বা লাইন লেগে যায়।