Punjab Power Crisis: ‘সংস্থার ভুলের শাস্তি কেন পাবে সাধারণ মানুষ?’, বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থার উপরই ক্ষোভ উগরে দিলেন সিধু

Navjot Singh Sidhu on Punjab Power Crisis: কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু টুইট করে লেখেন, "বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি নিয়ম ভঙ্গ করছে, ন্যূনতম ৩০ দিনের কয়লার মজুত না রেখে সাধারণ মানুষকে শান্তি দিচ্ছে। এদের জরিমানা করা উচিত।"

Punjab Power Crisis: 'সংস্থার ভুলের শাস্তি কেন পাবে সাধারণ মানুষ?', বিদ্যুৎ উৎপাদক সংস্থার উপরই ক্ষোভ উগরে দিলেন সিধু
ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 11, 2021 | 8:53 AM

চণ্ডীগঢ়: চরম সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশ। একাধিক সংস্থার দাবি, দেশের কয়লা ভাণ্ডার (Coal Storage) প্রায় ফাঁকা। কেন্দ্রের তরফে এই দাবিকে ভুয়ো বলা হলেও ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্যে বিদ্য়ুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ঘন ঘন লোডশেডিং (Load Shedding) হচ্ছে পঞ্জাবেও (Punjab)। সাধারণ মানুষকে এর জেরে নানা সমস্য়ায় ভুগতে হওয়ায় পঞ্জাবের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু (Navjot Singh Sidhu) বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেই পদক্ষেপ করতে বললেন।

রবিবারই কয়লা সঙ্কটের কারণে পঞ্জাব স্টেট পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয় এবং এর জেরে রাজ্যজুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিং হয়। এরপরই কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু টুইট করে লেখেন, “পঞ্জাবকে অনুতাপ ও সংশোধনের বদলে আমাদের আগে থেকেই প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি নিতে হবে। বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থাগুলি নিয়ম ভঙ্গ করছে, ন্যূনতম ৩০ দিনের কয়লার মজুত না রেখে সাধারণ মানুষকে শান্তি দিচ্ছে। এদের জরিমানা করা উচিত। এখন সময় এসেছে সোলার পিপিঅএ ও ছাদের উপরে বসানো সৌরবিদ্যুৎকে গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা।”

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা অনুযায়ী, কয়লা খাদান থেকে ১ হাজার কিমির মধ্যে অবস্থিত বিদ্যুৎ উৎপাদক প্ল্যান্টগুলিতে সর্বদা কমপক্ষে ৩০ দিনের কয়লা মজুত রাখতে হবে। তবে অধিকাংশ রাজ্যেই বিদ্য়ুৎ উৎপাদক প্ল্যান্টগুলিই এই নিয়ম মানে না। পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুত না থাকার কারণেই রাজ্যগুলিতে কম পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে বলে জানানো হয় পিএসপিসিএলের তরফে।

শনিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিও বিদ্যুৎ সঙ্কটের জন্য় কেন্দ্রকেই দোষারোপ করেন। তিনি জানান, কেন্দ্র পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুত না রাখার কারণেই দেশ জুড়ে এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দেশের মজুত কয়লার ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাবে। তিনি অভিযোগ করেন, কোল ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা পাচ্ছে না পঞ্জাব। তিনি কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ জানান, শীর্ঘ্রই যেন রাজ্যকে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে কেন্দ্র।

অন্যদিকে, গতকালই এক কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরকে সিং বলেন, “কয়লার ঘাটতি নিয়ে অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে”।  সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, কয়লা সঙ্কট নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বোঝাবুঝির ভুলে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, গেইল (GAIL) এবং টাটা (Tata) -র বোঝাবুঝির ভুলে এই পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী সহ ৬ রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে যে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, এই বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী বলছেন, “আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শক্তি আছে… সমগ্র দেশকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করছি। যে চাইবে, আমাকে চাহিদা বলুন, আমিই তাঁদের সরবরাহ করব।”

আরও পড়ুন: Karnataka: ‘আধুনিক মেয়েরা বিয়ে করতে চান না, সন্তান চান না’, বেফাঁস মন্তব্যে এবার বির্তকে কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী