Amarinder Singh: ‘সিধুকে কিছুতেই জিততে দেব না’, নির্বাচনের আগেই সোজাসুজি চ্যালেঞ্জ ক্যাপ্টেনের

Amarinder Singh Challenging Navjot Singh Sidhu: সিধু দলে ফিরলেও কংগ্রেসের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে চান না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন অমরিন্দর সিং।

Amarinder Singh: 'সিধুকে কিছুতেই জিততে দেব না', নির্বাচনের আগেই সোজাসুজি চ্যালেঞ্জ ক্যাপ্টেনের
নভজ্যোত সিং সিধুকে চ্যালেঞ্জ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 02, 2021 | 6:38 AM

নয়া দিল্লি: আগেই জানিয়েছিলেন কংগ্রেস (Congress) ছাড়তে চান তিনি। এবার আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নভজ্যোত সিং সিধু(Navjot Singh Sidhu)-কে জিততে না দেওয়ার শপথও নিলেন পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। বৃহস্পতিবারই তিনি ফের নভ্জ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধে  তোপ দাগেন।

কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করার পাশাপাশিই অমরিন্দর সিং বলেন, “পঞ্জাবের জন্য সিধু উপযুক্ত নয়, এ কথা আমি আগেও বলেছি। উনি যদি নির্বাচনে দাঁড়ান, আমি ওনাকে জিততে দেব না। সিধু নিজে থেকে একটা কিছু করতে পারে না। পঞ্জাবের জন্য জাদুর মতো কাজ করবেন না, বরং দলে বিপর্যয়ই ডেকে আনবেন।”

ওই দিনই তিনি সিধুকে আক্রমণ করে বলেছিলেন, “উনি (নভজ্যোত সিং সিধু) সুস্থির নন, দলগতভাবে কাজ করতে পারেন না। তিনি কীভাবে পঞ্জাব কংগ্রেসের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন? এই ধরনের দায়িত্বের জন্য একজন দলগত যোদ্ধার প্রয়োজন হয়, যা সিধু নন।”

বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সঙ্কটে পড়েছে কংগ্রেস। একদিকে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অমরিন্দর সিং। অন্যদিকে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবারই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দেন নভজ্যোত সিং সিধুও। যদিও বৃহস্পতিবার পঞ্জাব ভবনে নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নির সঙ্গে বৈঠকের পর ইস্তফা প্রত্যাহার করে নিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

সিধু দলে ফিরলেও কংগ্রেসের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতে চান না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন অমরিন্দর সিং। দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে দেখা করার পরই তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়া ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। তবে অমরিন্দর সিং সাফ জানিয়ে দেন, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন না। তবে খুব শীঘ্রই কংগ্রেস ছাড়বেন তিনি।

দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে অমরিন্দর সিং বলেন, “আমি দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে রাজনীতিতে রয়েছি। আমার নিজের কিছু মতাদর্শ, বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু যেভাবে আমার সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে… সকাল সাড়ে ১০টার সময় আমায় ইস্তফা দিতে বলেন কংগ্রেস সভাপতি। আমি কোনও প্রশ্ন করিনি, শুধু বলেছিলাম এখনই ইস্তফা দিচ্ছি। ৪টের সময় আমি রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দিই। যদি ৫০ বছর পরও আমার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, যদি কোনও বিশ্বাসই না থাকে, তবে সেই দলে থেকে লাভ কী?”

অন্যদিকে, পঞ্জাবের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিও দলের হাল নিয়ে চিন্তিত। আগামী ৪ অক্টোবর তিনি ক্যাবিনেট বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। এই বৈঠকে দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের যাবতীয় জমে থাকা অভিযোগ জানাতে ও নির্বাচনের আগে তা মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন: Dubai Expo 2020: টানতে হবে বিদেশি পুঁজি! বিনিয়োগকারীদের ভারতে এসে বাণিজ্যের আহ্বান নমোর