Punjab: এটাই ‘শেষ সুযোগ’, কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি সিধুর

Navjyot Singh Sidhu, প্রত্যেক পঞ্জাবের নাগরিকের চাহিদা ও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের চেষ্টা করা উচিৎ বলেই জানিয়েছেন সিধু।

Punjab: এটাই 'শেষ সুযোগ', কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি সিধুর
পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2021 | 6:25 PM

চণ্ডীগড়: আবারও হুঙ্কার নভজ্যোত সিং সিধুর (Navjot Singh Sidhu)। রবিবার, তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাব সরকারের উচিৎ মানুষের আসল সমস্যা গুলির সমাধান বের করার চেষ্টা করা। প্রত্যেক পঞ্জাবের নাগরিকের চাহিদা ও আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের চেষ্টা করা উচিৎ বলেই জানিয়েছেন সিধু। দৃঢ়তার সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আসল সমস্যাগুলিকে তিনি কখনই চাপা পড়ে যেতে দেবেন না।

পাকিস্তানের সাংবাদিক অরুসা আলমের (Aroosa Alam) সঙ্গে পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের (Amarinder Singh ) সম্পর্ক নিয়ে যখন রাজ্যের বেশ কয়েকজন প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা তোপ দেগেছেন তখন বরাবর অমরিন্দর বিরোধী বলে পরিচিত সিধুর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সেই রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

টুইটে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা পঞ্জাবের কংগ্রেস (Congress) সভাপতি সিধু লিখেছেন পঞ্জাবকে অবশ্যই তার আসল ইস্যুতে ফিরে আসতে হবে। প্রত্যেক পাঞ্জাবি এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম রাজ্যের উন্নতি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। বর্তমানে রাজ্যে যে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে, সেই সমস্যার কীভাবে মোকাবেলা করব? আমি মূল বিষয়গুলিতেই থাকব এবং তাদের পিছনে হারিয়ে যেতে দেব না।”

সম্প্রতি, দিল্লিতে কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা কে সি ভেনুগোপাল এবং হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সময়, কংগ্রেস নেতৃত্বের তোলা ১৮ দফা দাবি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই ঘটনা গুলিতে এখনও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর মধ্যে ২০১৫ সালে ধর্মত্যাগের মামলা ও ড্রাগ মাফিয়াদের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ অন্যতম। তিনি জানিয়েছেন, পঞ্জাবের জনগণের দাবি ছিল, ২০১৫ সালে অকালি দল ও বিজেপির জোট সরকারের রাজত্বের সময় ফরিদকোটের কোটাকাপুরা এবং বেহবল কালানে গুলি চালানা ও গ্রন্থ সাহেবের অবমাননার জন্য ন্যায়বিচার। কিন্তু সেই ন্যায়বিচার তার এখনও পাননি। টুইটে তিনি লিখেছেন,”এসটিএফ রিপোর্টে উল্লেখিত বড় মাছদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”

তাঁর লেখাতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়টিও উল্লেখিত হয়েছে। টুইটে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, ক্ষত স্থান মেরামত করে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার এটাই শেষ সুযোগ। কয়েকদিন ধরেই একের পর এক ঘটনা নিয়ে উত্তপ্ত পঞ্জাবের রাজনীতি। দলের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দল ছাড়েন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। তারপরেই চরণজিৎ চন্নীকে (Charanjit Singh Channi) মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসান সনিয়া রাহুলরা। কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেবেন ঘোষণা করেও শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সভাপতি পদে থেকে যান সিধু।

সম্প্রতি, পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানের সাংবাদিক অরুসা আলমের সম্পর্ক নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছিলেন পঞ্জাবের মন্ত্রী সুখজিন্দর রানধাওয়া। তারপরেও ঘুরিয়ে সেই মন্তব্যের বিরোধিতা করে সিধুর এই সরব হওয়ার পিছনে কোন রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

আরও পড়ুন শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে মিলল চেহারা, ৩৬ ঘণ্টায় নাবালিকার ধর্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ