Priyanka Gandhi: ফটোসেশনে সবার আগে কংগ্রেস, প্রিয়ঙ্কাকে ‘টুইটার বঢ়রা’ খোঁচা যোগী ডেপুটির
Keshav Maurya taunts Priyanka Gandhi: ফটোসেশনের দিক থেকে এখন সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির থেকেও এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। কটাক্ষ উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর।
লখনউ : ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে কে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার একটা লিটমাস টেস্ট করার জায়গা হল উত্তর প্রদেশ। মাস ছয়েক বাদেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও আগামী বছরের শুরুর দিকেই ভোট হতে পারে যোগী রাজ্যে। আর সেই ভোটের হাওয়া এখন থেকেই তপ্ত হতে শুরু করে দিয়েছে। চলছে আক্রমণ, প্রতি আক্রমণের পালা। কোনও শিবিরই বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ।
সম্প্রতি উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচারের দায়িত্বে থাকা প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে টুইটারে বেশ সরব হতে দেখা গিয়েছে। ঘন ঘন টুইট করে শাসক শিবিরের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মাঠে-ময়দানে সেভাবে দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। আর এই নিয়েই এবার প্রিয়ঙ্কাকে আক্রমণ শানালেন যোগীর ডেপুটি কেশব প্রসাদ মৌর্য। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রাকে ‘টুইটার বঢ়রা’ বলে আক্রমণ করেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য এই পুরানো একটি রাজনৈতিক দলের উত্তর প্রদেশের দায়িত্বে থাকা নেত্রী শুধু ফটো তুলতেই ব্যস্ত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মৌর্য বলেন, “আপনারা মনে হয়ে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে বিরোধী নেত্রী হিসেবে দেখছেন। আমি তাঁর নাম দিয়েছি টুইটার বঢ়রা। ছবি তোলা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই কংগ্রেসে।” কংগ্রেসের গুরুত্ব যে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে, সেই কথাও আজ বুঝিয়ে দেন উপমুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্য। বলেন, ” ফটোসেশনের দিক থেকে এখন সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির থেকেও এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু এই তিনটি দলই উত্তর প্রদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ।”
কংগ্রেসকে নিয়ে তামাশা এখানেই শেষ নয়। তিনি আরও বলেন, “তবে তাঁদের ছবি তোলার ক্ষেত্রে এক অসাধারণ নৈপুন্য রয়েছে। রাহুল গান্ধী হোন বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বা অন্য কোনও কংগ্রেস নেতা, এই গুণটি প্রত্যেকের রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে সেলফি তুলে দেখা গিয়েছিল আগ্রার মহিলা পুলিশকর্মীদের। আগ্রায় পুলিশি হেফাজতে মৃত ব্যক্তির বাড়িতে দেখা করতে যাচ্ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তবে মাঝপথেই তাঁর গাড়িকে বাধা দেয় পুলিশ। লখনউ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম টোল প্লাজ়ার দীর্ঘক্ষণ তাঁকে আটকে রাখে পুলিশ, জানানো হয়, আগ্রার জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী ওই ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদেরই দেখা করার অনুমতি নেই। যদিও পরে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়।
এ দিকে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গাড়ি আটকানোর পর তিনি গাড়ি থেকে নামতেই কয়েকজন মহিলা পুলিশকর্মী এগিয়ে আসেন এবং তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে চান। প্রিয়ঙ্কাও হাসিমুখে তাদের সঙ্গে ছবি তেলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হতেই অনেকে প্রশ্ন তোলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় কীভাবে এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে ছবি তুললেন ওই পুলিশকর্মীরা। এরপরই লখনউের পুলিশ কমিশনার তদন্তের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন : Priyanka Gandhi: পুলিশি নির্দেশ ভাঙায় মাঝপথে আটক প্রিয়ঙ্কা, জড়ালেন পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে