Flesh Trade: থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে রমরমিয়ে চলছে দেহ ব্যবসা, যুবতীর চিৎকারে পর্দাফাঁস
Bihar: থানার কাছেই ছোট্ট বাড়ি। রোজই কমবয়সি মেয়েদের আনাগোনা সেখানে। তা দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।
মুজফ্ফরপুর: কাজ দেওয়ার নাম করে ডেকে আনা হত কমবয়সি যুবতীদের। সেই ফাঁদে পা দিয়ে যুবতীরা এলে তাঁদের কাজ তো দেওয়া হত না, উল্টে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হত। দেহ ব্যবসায় রাজি না হওয়ায় এক যুবতীকে মারধর করা হয়। তখনই প্রবল চিৎকার করতে থাকেন ওই যুবতী। তাঁর চিৎকার শুনে ছুটে আসে এলাকাবাসী। তার পরই সেক্স র্যাকেটের পর্দা ফাঁস হয়। অভিযোগ থানার থেকে ১০০ মিটারের মধ্যেই দিনের পর দিন চলছিল সেক্স র্যাকেট। বুধবার এই সেক্স র্যাকেট সামনে এসেছে বিহারের মুজফ্ফরপুরে। সেখান থেকে তিন যুবতীকে উদ্ধারও করেছে পুলিশ যাঁদের জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানো হয়েছিল। পাশাপাশি সেক্স র্যাকেট চালানোর জন্য এক মহিলা-সহ কয়েক জন যুবককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে কাজের দেওয়ার নাম করে যুবতীদের দেহ ব্যবসায় নামানোর চক্র সক্রিয় রয়েছে।
থানার কাছেই ছোট্ট বাড়ি। রোজই কমবয়সি মেয়েদের আনাগোনা সেখানে। তা দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। কিন্তু কিছুই জানতে পারেন না তাঁরা। বুধবারও একই ব্যাপার। হঠাৎই এক যুবতীর চিৎকার শোনা যাচ্ছিল। শমস্তিপুরের ওই যুবতীকে কাজের নাম করে ডেকে এনে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করা হচ্ছিল। কিন্তু কিছুতেই সেই কাজ করতে রাজি ছিলেন না ওই যুবতী। তাই তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। তাঁর চিৎকার শুনেই সেখানে জড়ো হন এলাকাবাসী। এর পরই পর্দাফাঁস হয় চক্রের। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং তিন জনকে উদ্ধার করেন। এক মহিলা ও দুই যুবককে গ্রেফতার করেন।
পুলিশি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ওই মহিলা জানিয়েছেন, আহিয়াপুরের বিভিন্ন প্রান্তে সেক্স র্যাকেট চলছে। ঘটনা নিয়ে আহিয়াপুরের স্টেশন হাউস অফিসলার জানিয়েছেন, বেকার যুবতীদের বিভিন্ন কাজের টোপ দেওয়া হত। এর পর তাঁদেরকে দেহ ব্যবসায় নামানো হত। শহরের বিভিন্ন জায়গায় এ রকম চক্রের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।