Rahul Gandhi: ‘সুখস্মৃতি রয়েছে’, সাংসদ পদ হারানোর পর বাংলো ছাড়ার আশ্বাস রাহুলের
তুঘলক লেনের বাংলোটিতে অনেক 'সুখস্মৃতি' রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সনিয়া-তনয়া।
নয়া দিল্লি: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সরকারি বাংলো খালি করে দেবেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। লোকসভা হাউসিং কমিটির নোটিসের পাল্টা জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা। কোনও অধিকারের পক্ষপাত না করেই তিনি সরকারি নির্দেশ মেনে নেবেন বলে লোকসভার সচিবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। তবে তুঘলক লেনের বাংলোটিতে অনেক ‘সুখস্মৃতি’ (Happy Memories) রয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সনিয়া-তনয়া। লোকসভা হাউসিং কমিটির তরফে সরকারি বাংলো (Government Bunglow) ছাড়ার নোটিস পাওয়ার কথা রাহুল গান্ধী নিজে স্বীকার করেছেন এবং মঙ্গলবার পাল্টা চিঠি দেন তিনি। লোকসভার সচিবকে দেওয়া চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, “জনাদেশে আমি চার বার লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সুবাদে আমার এখানে অনেক সুখস্মৃতি রয়েছে। তবে আমি আমার অধিকারের প্রতি পক্ষপাত না করেই চিঠিতে দেওয়া নির্দেশ অবশ্যই মেনে নেব।”
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধী সরকারি বাংলো ছাড়ার পর কোথায় থাকবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানিয়েছেন, রাহুল চাইলে তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতে পারেন অথবা আমার সঙ্গেও এসে থাকতে পারেন। তবে পুরো বিষয়টি রাহুল গান্ধীর সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সাল থেকে সাংসদ পদে রয়েছেন রাহুল গান্ধী। ফলে সাংসদ কোটায় নয়া দিল্লিতে ১২, তুঘলক লেনের বাংলো পেয়েছেন তিনি। ২০০৪ সাল থেকে ওই সরকারি বাংলোতেই রয়েছেন রাহুল। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তাই এবার ওই সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ দিল লোকসভা হাউসিং কমিটি। সোমবারই এব্যাপারে লোকসভার হাউসিং কমিটির তরফে রাহুল গান্ধীকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যেই রাহুলকে বাংলোটি খারিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দিন দুয়েক আগেই রায়পুরে এক দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, আমার ৫২ বছর বয়স। কিন্তু, আমার কোনও ঘর নেই। এপ্রসঙ্গে শৈশবের এক স্মৃতিচারণ করেন সনিয়া-তনয়। তিনি বলেন, “আমার বয়স তখন ৬ বছর ছিলাম। আমাদের বাড়িতে একটা আজব ঘটনা ঘটে। আমি মা-কে জিজ্ঞাসা করলাম, কী হয়েছে? মা জানালেন, আমরা ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছি। কেননা এই ঘর আমাদের নয়, এটা সরকারের। আমি মা-কে জিজ্ঞাসা করলাম, কোথায় যাব? মা বললেন, জানি না। আজ ৫২ বছর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, আজও আমার কোনও ঘর নেই।” তাই ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-য় যাঁরা সামিল হয়েছেন, তাঁরা সকলে তাঁর পরিবারের সদস্য এবং যে এলাকা দিয়ে যাচ্ছেন সেটাই তাঁর ঘর মনে করেছেন বলে জানান রাহুল গান্ধী।