Rahul Gandhi: ‘মেরা ঘর’, ১২ তুঘলকের বাংলোও ফিরে পেলেন রাহুল
Rahul Gandhi 12 Tughlak Lane: বাসভবন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, "মেরা ঘর পুরা হিন্দুস্তান হ্যায়" (গোটা ভারত আমার বাড়ি)। কংগ্রেসের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লেখা হয়েছে, "গোটা দেশই রাহুল গান্ধীর বাড়ি। মানুষের হৃদয়ে বাস করেন রাহুল গান্ধী।"
নয়া দিল্লি: পুরনো বাড়ি ফিরে পেলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ার একদিন পরই তাঁকে দিল্লির ১২ তুঘলক লেনের সরকারি বাসভবন পুনরায় বরাদ্দ করা হল। মঙ্গলবার সকালেই লোকসভা হাউস কমিটি রাহুল গান্ধীকে তাঁর পুরনো বাংলোটি পুনর্বরাদ্দ করে। মোদি পদবি নিয়ে ফৌজদারি মানহানির মামলায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার রায় স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তারপর, ঠিক যে দ্রুততায় সাংসদ পদ এবং সরকারি বাসভবন খুইয়েছিলেন রাহুল, ঠিক সেই দ্রুততাতেই পদ ও বাড়ি ফিরে পেলেন তিনি। এদিন বিকেলে অসমের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য এআইসিসি সদর দফতরে আসেন রাহুল। সেখানেই বাসভবন ফিরে পাওয়ার বিষয়ে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, “মেরা ঘর পুরা হিন্দুস্তান হ্যায়” (গোটা ভারত আমার বাড়ি)।
মোদী পদবি নিয়ে ফৌজদারি মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল সুরাটের এক দায়রা আদালত। তাঁকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মার্চের শেষে তাঁকে সাংসদ হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছিল। অযোগ্য সাংসদরা সরকারি বাসভবন ছাড়ার জন্য এক মাস সময় পান। ২২ এপ্রিল, প্রোটোকল মেনে রাহুল তাঁর সরকারি বাংলোটি খালি করে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি থাকছিলেন, মা সনিয়া গান্ধীর ১০ জনপথ রোডের বাসভবনে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা, তাঁদের নিজেদের বাড়ি রাহুল গান্ধীকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। এমনকি বারাণসীর হনুমান গড়হি মন্দিরের প্রধান সেবায়েত, তাঁদের মন্দিরে এসে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাহুলকে।
সম্প্রতি, দক্ষিণ দিল্লির নিজামুদ্দিন ইস্ট বি-২ এলাকায় দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাংলো রাহুলের নতুন ঠিকানা হবে বলে শোনা গিয়েছিল। এই বাংলোয় থাকতেন শীলা দীক্ষিতের ছেলে সন্দীপ দীক্ষিত। তিনি অন্য বাংলোয় উঠে যাওয়ার পর, ওই বাংলোটিতে থাকবেন বলে ঠিক করেছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে, ১২ তুঘলক রোডের বাসভবন ফিরে পাওয়ার পর, সেই পরিকল্পনা তিনি বাতিল করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ২০০৫ সাল থেকে এই বাড়িতেই থাকতেন ওয়ানাড়ের সাংসদ।
সরকারি বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার পর রাহুল গান্ধী দাবি করছিলেন, সত্যি কথা বলার শাস্তি পেতে হচ্ছে তাঁকে। তিনি বলেছিলেন, “সত্যি বলার জন্য আমি যে কনও মূল্য চোকাতে রাজি।” এদিন রাহুল গান্ধী তাঁর পুরনো বাসভবন ফিরে পাওয়ার পর, কংগ্রেসের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দিতে লেখা হয়েছে, “গোটা দেশই রাহুল গান্ধীর বাড়ি। মানুষের হৃদয়ে বাস করেন রাহুল গান্ধী। জনসাধারণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অটুট। কেউ তাঁর মধ্যে তাঁর ছেলেকে, কেউ ভাইকে, কেউ তাদের নেতাকে দেখতে পান। রাহুল সবার এবং সবাই রাহুলের। এই কারণেই আজ গোটা দেশ বলছে, রাহুল জি, আমার বাড়ি আপনার বাড়ি।” সঙ্গে ‘মেরা ঘর আপকা ঘর’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেছে কংগ্রেস।