Rahul meets Nitish-Tejaswi: নীতীশ-তেজস্বীকে নিয়ে রাহুলের ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’, বিরোধী ঐক্য দেখা যাচ্ছে কই?

Rahul meets Nitish-Tejaswi to unite opposition: মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল), নয়া দিল্লিতে এক বৈঠকে মিলিত হলেন জাতীয় কংগ্রেস, জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতারা। রাহুল গান্ধীর মতে, বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।

Rahul meets Nitish-Tejaswi: নীতীশ-তেজস্বীকে নিয়ে রাহুলের 'ঐতিহাসিক পদক্ষেপ', বিরোধী ঐক্য দেখা যাচ্ছে কই?
কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে জেডি(ইউ) এবং আরজেডি নেতারা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 12, 2023 | 4:30 PM

নয়া দিল্লি: বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করার আরও এক প্রচেষ্টা। মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল), নয়া দিল্লিতে এক বৈঠকে মিলিত হলেন জাতীয় কংগ্রেস, জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতারা। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে জোট গড়ার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হল এই বৈঠকে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের পক্ষে মল্লিকার্জুন খাড়্গে, রাহুল গান্ধী, সলমন খুরশিদ, জেডি (ইউ)-এর নীতীশ কুমার এবং রাজীবরঞ্জন সিং, আরজেডির তেজস্বী যাদব এবং মনোজ ঝা। এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে আদৌ এই তিন দল একজোট হতে পারে কিনা, তার উত্তর ভবিষ্যতে মিলবে। তবে, এদিনের বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের মূল লক্ষ্য একটি-দুটি দল নয়, বিজেপি-বিরোধী সকল দলকেই এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা। সেই লক্ষ্যে এদিনের বৈঠক একটি ‘ঐতিহাসিক পদক্ষেপ’ বলে দাবি করেছেন রাহুল গান্ধী। বৈঠকের পর তিনি বলেছেন, “এটা একটা প্রক্রিয়া। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রতি বিরোধীদের একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গী তৈরি হবে।”

কংগ্রেস, জেডি (ইউ) এবং আরজেটি, বামদলগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে বিহারে সরকার চালায়। তাই তাদের মধ্যে জোট গড়ার কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ। কিন্তু, সমস্যা রয়েছে অন্যান্য বেশ কয়েকটি দলকে নিয়ে। বিরোধী জোট কংগ্রেসকে নিয়ে হবে, নাকি কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট গড়া হবে, এই নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সব মিলিয়ে, লোকসভা ভোটের এক বছর আগেও, ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোটের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। বস্তুত, দিন কয়েক আগে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিরোধী জোটের সম্ভাবনা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন অমিত শাহ। আসলে বেশ কিছু দল যেখানে বিরোধী ঐক্য নিয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে, একই সময়ে বেশ কিছু দল এই প্রশ্নে ধোঁয়াশা রেখে দিয়েছে। সাগরদিঘির উপনির্বাচনে হারের পরই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর, কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। ফের বিরোধী ঐক্যের কথা শোনা গিয়েছে তাঁর গলায়।

কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট গড়তে চান অরবিন্দ কেজরীবালও। সদ্য আম আদমি পার্টি জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে। কাজেই তাদের উদ্দীপনাও এখন অনেক বেশি। বিরোধী জোটের প্রশ্নে কেজরীবাল বলেছেন, “বিরোধী দলগুলির জোট গুরুত্বপূর্ণ নয়। মানুষের জোট বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যদি দেখে কোনও একটি দলকে হারানোর জন্য, বাকি সবকটি দল একজোট হচ্ছে, তারা তা ভালভাবে নেবে না।” কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে জোট গড়তে চান কেসিআর-ও। জাতীয় স্তরে রাজনীতি করার জন্য দলের নাম টিআরএস থেকে বদলে বিআরএস করেছেন তিনি। কাজেই তিনিও জাতীয় গুরুত্ব আশা করছেন। রাজ্য রাজনীতির দায়বদ্ধতা মেনে কংগ্রেসের নৌকায় যাওয়াও তাঁর পক্ষে অসম্ভব। কাজেই এদিনের বৈঠক সত্যি সত্যিই কতটা ঐতিহাসিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।