Indira death: ১৪ বছরেই ধাক্কা, ঠাকুমার দেহর সামনে অঝোরে কেঁদেছিলেন ছোট্ট রাহুল, দেখুন

Indira death anniversary: ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর সময় রাহুল গান্ধীর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। ঠাকুমা ছিলেন তাঁর অত্যন্ত কাছের মানুষ। অকালে তাঁকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন কিশোর রাহুল। এদিন ইন্দিরার প্রয়াণের সময়ের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন রাহুল। কী আছে, ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো ক্লিপে?

Indira death: ১৪ বছরেই ধাক্কা, ঠাকুমার দেহর সামনে অঝোরে কেঁদেছিলেন ছোট্ট রাহুল, দেখুন
ঠাকুমার মৃত্যুর সময় রাহুল গান্ধীর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছরImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 31, 2023 | 5:19 PM

নয়া দিল্লি: আজ, ৩১ অক্টোবর, ২০২৩। আজ থেকে ৩৯ বছর আগে, এই দিনেই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। এদিন তাঁর মৃত্যু দিবসে, সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মর্মান্তিক ভিডিয়ো প্রকাশ করে ঠাকুমাকে শ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ভিডিয়োটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “আমার শক্তি আমার ঠাকুমা! তুমি যে ভারতের জন্য নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করেছ, সেই ভারতকে আমি সবসময় রক্ষা করব। তোমার স্মৃতি সবসময় আমার সঙ্গে আছে, আমার হৃদয়ে।”

ইন্দিরা গান্ধীর মৃত্যুর সময় রাহুল গান্ধীর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। ঠাকুমা ছিলেন তাঁর অত্যন্ত কাছের মানুষ। অকালে তাঁকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিলেন কিশোর রাহুল। এদিন তিনি যে ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন, সেটি ইন্দিরার প্রয়াণের সময়ের ভিডিয়ো। এই ১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ভিডিয়ো ক্লিপে ইন্দিরা মৃত্যুর পর রাহুল গান্ধীকে অঝোরে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। তাঁকে মৃতা ঠাকুমার মুখ মুছিয়ে দিতেও দেখা যায়। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে শোকার্ত রাজীব গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীকেও। সনিয়ার চোখ ঢাকা ছিল কালো চশমায়। ভিডিয়োর পরবর্তী অংশে রয়েছে ইন্দিরা গান্ধীর বক্তৃতা দেওয়ার, সংসদে প্রবেশ করার ছবি। অনগ্রসরদের উন্নয়নের বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে। ঠাকুমার মৃত্যুর দিনটি তাঁর জীবনের দ্বিতীয় কঠিনতম দিন বলে জানিয়েছেন রাহুল।

তিনি বলেছেন, “আমার ঠাকুমার শেষকৃত্য। এটা ছিল আমার জীবনের সবথেকে কঠিন দিন। ভুল বললাম, দ্বিতীয় কঠিনতম দিন। আমায় ঠাকুমা বলেছিল না কাঁদতে। আপনারা দেখবেন, আমি হাত দিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছি। মৃত্যুর আগে তিন আমায় বলেছিলেন, যদি আমার কিছু হয়ে যায়, কেঁদ না কিন্তু। আমি তখন বুঝিনি তাঁর কথা। দু-তিন ঘণ্টা পরই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। মনে হয়, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁকে হত্যা করা হবে। আমার মনে হয়, বাড়ির সকলে তা বুঝতে পেরেছিল। তিনি একবার খেতে বসে আমাদের বলেছিলেন, যদি তাঁকে অসুস্থ হয়ে মরতে হয়, তবে, সেটাই হবে তাঁর জূীবনের সবথেকে বড় অভিশাপ। তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়তো এটাই ছিল মৃত্যুর সবথেকে ভাল উপায়। দেশের জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন তিনি, পছন্দের ধারণাকে রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। সেদিন বুঝতে পারিনি, তবে আজ আমি বুঝতে পারি।”

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও ঠাকুমার সঙ্গে তাঁর একটি ছবি পোস্ট করে ঠাকুমাকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। ছবিতে ছোট্ট প্রিয়ঙ্কাকে দেখা যাচ্ছে তাঁর ঠাকুমার সঙ্গে খেলতে। দুজনকেই খিলখিলিয়ে হাসতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটির ক্যাপশনে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, “তোমার জীবন ছিল সাহসের, নির্ভীকতা, দেশপ্রেমের বার্তাবাহী। তোমার জীবন দিয়ে তুমি বার্তা দিয়েছিলে ন্যায়ের জন্য লড়াই করার, আদর্শকে অনুসরণ করার।”