Fare Concession to Senior Citizens : প্রবীণ নাগরিকদের ট্রেনের ভাড়ায় কেন ছাড় নয়, ব্যাখ্যা করলেন রেলমন্ত্রী
Fare Concession to Senior Citizens : এখনি ভারতীয় রেলের তরফে ছাড় দেওয়া হবে না প্রবীণ নাগরিকদের রেলের টিকিটে। বুধবার লোকসভায় রেল মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নয়া দিল্লি : রেলের যাত্রার ক্ষেত্রে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটের ভাড়ায় এখনি দেওয়া হবে না ছাড়। কোভিড অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে এখনও রেলের আয় ছন্দে ফেরেনি। তাই প্রবীণ নাগরিকদের ছাড় দেওয়ার বিষয়ে এখনি নিমরাজি কেন্দ্র। বুধবার লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাব জানিয়ে দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণ।
১৮ জুলাই থেকে সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। বুধবার সেই লোকসভার অধিবেশনে প্রশ্ন ওঠে কোভিড পরিস্থিতির হাল ফেরায় প্রবীণদের ট্রেনের ভাড়ায় ছাড় ফিরে আসবে কিনা। সেই প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী অশ্বিণী বৈষ্ণ জানিয়েছেন যে, রেলের ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার জন্য এখন প্রস্তুত নয় কেন্দ্র। একটি আরটিআই-র জবাবে রেল মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ কামরার জন্য়ই রেলের ভাড়া খুব কম। আরও জানানো হয়েছে, কম ভাড়া ও বিভিন্ন ক্যাটেগরির যাত্রীদের জন্য ছাড় দেওয়ার ফলে রেল ক্ষতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কার্যত রেল মন্ত্রকের এই বিবৃতিতে স্পষ্ট হচ্ছে যে, ছাড় ফিরিয়ে আনার বিপক্ষে কেন্দ্র। আরটিআই-র জবাবে জানানো হয়েছে, ‘যাত্রী পরিষেবার ক্ষেত্রে কম ভাড়ার মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রবীণ নাগরিক সহ প্রায় সব যাত্রীর ভাড়ার খরচের ৫০ শতাংশ বহন করছে ভারতীয় রেল।’ ছাড় না দেওয়ার পিছনে কোভিডে ভারতীয় রেলের ঘাটতিকেই দায়ী করা হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফে। গতকাল বলা হয়েছে, ‘২০১৯-২০ এর প্রেক্ষিতে কোভিড-১৯ এর কারণে গত দু’ বছরে যাত্রীদের থেকে রেলের আয় ছিল কম।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মার্চ নাগাদ কেন্দ্রের তরফে প্রবীণ নাগরিকদের টিকিটের ভাড়ায় ছাড় তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সাংসদ ও প্রাক্তন সাংসদদের ট্রেনের টিকিটে ছাড় বজায় রেখেছিল কেন্দ্র। এই নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণের মুখেও পড়েছিল কেন্দ্র। বুধবার প্রবীণ নাগরিকদের রেলের ভাড়ায় পুনরায় ছাড় দেওয়া হবে না তা জানিয়ে আরও বলা হয়েছে, ‘কোভিডের কারণে রেলের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলকে অতিরিক্ত আর্থিক বোঝা বহন করতে হবে। তাই প্রবীণ নাগরিক সহ বিভিন্ন ক্যাটেগরির নাগরিকদের ছাড় দেওয়া কাম্য নয়। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেও চার ধরনের বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, এগারো ধরনের রোগী ও ছাত্র-ছাত্রীদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।’ এদিনের রেল মন্ত্রকের এই জবাবে স্পষ্ট যে, এই মুহূর্তে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড় দেওয়ার কোনও উদ্দেশ্য় নেই রেলের।