Rajouri encounter: IED থেকে স্নাইপারে দক্ষ, রাজৌরির জঙ্গল-যুদ্ধে সেনার হাতে নির্মূল দুর্ধর্ষ পাক জঙ্গি নেতা
Rajouri encounter: গত এক বছর ধরে সে তার দলবল-সহ রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। ওই এলাকায় সাম্প্রতিককালের বেশ কয়েকটি হামলার মূল পরিকল্পনাকারীও সম্ভবত ছিল কারি। তাকে অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই জঙ্গি নেতার মৃত্যু, কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
শ্রীনগর: ফের জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদকে ফের খুঁচিয়ে তুলতে যে জঙ্গি কমান্ডারকে পাঠিয়েছিল লস্কর-ই-তৈবা, বৃহস্পতিবার রাজৌরি জেলার কালাকোট জঙ্গলে তাকেই খতম করল নিরাপত্তা বাহিনী। এই রাকিস্তানি জঙ্গি নেতা ছাড়াও, সেনার অভিযানে খতম হয়েছে আরও এক জঙ্গি। বুধবার সকাল থেকেই কালাকোট জঙ্গলে জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে তীব্র গুলির লড়াই শুরু হয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার পরও সেই লড়াই চলছে। প্রথমে নিরাপত্তা বাহিনী অনুমান করেছিল, ওই অঞ্চলে জনা দুই জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে। কিন্তু, যেভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে তারা, তাতে মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত ওই এলাকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গির সংখ্যা অনেক বেশি।
জম্মুর প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত জঙ্গি নেতার না কারি। এই পাকিস্তানি নাগরিক লস্কর-ই-তৈবার উচ্চ পদে ছিল। তাকে কাশ্মীরে পাঠানো হয়েছিল সন্ত্রাসবাদকে খুঁচিয়ে তুলতে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে তাকে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আইইডি বা বিস্ফোরক তৈরি, গুহায় লুকিয়ে থেকে সন্ত্রাসবাদ পরিচালনা, স্নাইপার রাইফেল থেকে গুলি ছোড়ায় পারদর্শী ছিল সে। গত এক বছর ধরে সে তার দলবল-সহ রাজৌরি ও পুঞ্চ জেলায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল। ওই এলাকায় সাম্প্রতিককালের বেশ কয়েকটি হামলার মূল পরিকল্পনাকারীও সম্ভবত ছিল কারি। তাকে অনেকদিন ধরেই খুঁজছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই জঙ্গি নেতার মৃত্যু, কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।
Breaking: Senior LeT commander Qari killed in Rajouri encounter. pic.twitter.com/2X6wmioRgH
— Frontalforce 🇮🇳 (@FrontalForce) November 23, 2023
এই অঞ্চলে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর সেনা ও পুলিশ পেয়েছিল এক স্থানীয় বাসিন্দার থেকে। সেনা জানিয়েছে, কালাকোট জঙ্গলের লাগোয়া বাজিমাল নামে এক গ্রামের বাসিন্দাদের কছ থেকে খাবার সংগ্রহ করতে গিয়েছিল জঙ্গিরা। গুজর নামে এক স্থানীয় ব্যক্তি তাদের খাবার দিতে অস্বীকার করায়, জঙ্গিরা তাকে মারধর করেছিল। বুধবার সকালে গ্রামবাসীরা ঘটনাটি নিরাপত্তা বাহিনীকে জানায় এবং তারপরই পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান শুরু করেছিল সেনা ও পুলিশের যৌথ বাহিনী।
লস্কর জঙ্গি নেতাকে নির্মূল করার সাফল্যের পাশাপাশি, শোকের খবরও রয়েছে। বুধবারই, জঙ্গিদের গুলিতে এক মেজর ও এক ক্যাপ্টেন-সহ শহিদ হয়েছিলেন সেনার চার সদস্য। আহত হয়েছিলেন আরও তিন জন। তাদের মধ্যে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
Capt Shubham Gupta & Capt MV Pranjal, 2 officers we lost in Rajouri encounter. Salute.
Om Shanti Bravehearts 🇮🇳 pic.twitter.com/yYw9OjpxCw
— Frontalforce 🇮🇳 (@FrontalForce) November 23, 2023
২০০৩ সাল থেকে পীরপঞ্জল বনাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের খুব একটা আনাগোনা ছিল না। কিন্তু, ২০২১ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে একের পর এক জঙ্গি দমন অভিযান চালাতে হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীকে। গত দুই বছরে ওই এলাকায় ৩০ জনের বেশি সেনা সদস্য শহিদ হয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সেনার সহ্গে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর,সন্ত্রাসবাদীরা জঙ্গলের সুবিধা নিয়ে পালিয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সন্ত্রাসবাদী হামলা চালানোর কৌশল বদলিয়েছে জঙ্গিরা। পাহাড়ি গুহা এবং ঘন জঙ্গলে লুকিয়ে থেকেই হামলার পরিকল্পনা করছে তারা।