Rajya Sabha Election : কোন ফর্মুলাতে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা? জানুন বিস্তারিত

Rajya Sabha Election : ১০ জুন দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৫৭ টি রাজ্য়সভা আসনে নির্বাচন রয়েছে। রাজ্যসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় রাজ্য বিধানসভায়। বিধায়করা খোলা ব্যালটে নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীদের ভোট দিয়ে রাজ্যসভার প্রতিনিধি করেন।

Rajya Sabha Election : কোন ফর্মুলাতে নির্বাচিত হন রাজ্যসভার সাংসদরা? জানুন বিস্তারিত
ছবি সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 08, 2022 | 8:40 PM

নয়া দিল্লি : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচন। আগামী ১০ জুন দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৫৭ টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক ছাড়াও আরও বেশ কিছু রাজ্য। রাজ্য সভায় নির্বাচন আর বাকি লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের মতো হয় না। লোকসভা ও রাজ্যসভায় জনগণ তাঁদের প্রতিনিধিকে গণতান্ত্রিক উপায়ে বেছে নেন। এখানেও ভোটাভুটির মাধ্যমেই প্রতিনিধি বেছে নেওয়া হয়। কিন্তু এই ভোটাভুটিতে প্রত্যক্ষভাবে জনগণ অংশগ্রহণ করেন না। রাজ্য বিধানসভায় জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিই তাঁদের সংশ্লিষ্ট দলের পছন্দমতো ভোট দিয়ে রাজ্যসভায় তাঁদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেন।

রাজ্য়সভার সদস্য সংখ্যা :

ভারতের সংসদের উচ্চকক্ষের আসন সংখ্যা ২৫০ টি। এর মধ্যে ২৩৮ জন নির্বাচিত প্রতিনিধি ও ১২ জন মনোনীত প্রতিনিধি। বর্তমানে রাজ্যসভায় মোট সদস্য সংখ্যা ২৪৫।

রাজ্য়সভার সদস্যদের মেয়াদ :

রাজ্যসভার সাংসদদের কার্যকালের মেয়াদ ছয় বছর। তবে দুই বছর অন্তর সদস্যের মধ্যে এক তৃতীয়াংশ অবসর নেন। উচ্চকক্ষের সকল সদস্যকেই ছয় বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে হয়। তবে মৃত্য়ু, অযোগ্যতা বা পদত্যাগের ক্ষেত্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

কোন কোন পদে হবে নির্বাচন :

জুন থেকে অগাস্ট মাসের মধ্যে রাজ্যসভার ৫৭ জন সাংসদের অবসর নেওয়ার পালা। এর মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও মুখতার আব্বাস নাকভি, কংগ্রেস নেতা অম্বিকা সোনি, জয়রাম রমেশ, কপিল সিব্বল ও বিএসপি-র সতীশ চন্দ্র মিশ্র।

কোন রাজ্য়ে কত আসনে নির্বাচন :

সারা দেশের ১৫ টি রাজ্যের ৫৭ টি আসনে নির্বাচন হবে। উত্তর প্রদেশে ১১ টি আসন খালি হচ্ছে, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র থেকে ছয় জন করে সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিচে সব রাজ্যের পদসংখ্যা দেওয়া হল :

উত্তর প্রদেশ – ১১

মহারাষ্ট্র – ৬

তামিলনাড়ু – ৬

বিহার – ৫

রাজস্থান – ৪

অন্ধ্রপ্রদেশ – ৪

কর্নাটক – ৪

মধ্যপ্রদেশ – ৩

ওড়িশা – ৩

পঞ্জাব – ২

হরিয়ানা – ২

ঝাড়খণ্ড – ২

তেলঙ্গনা – ২

ছত্তিশগড় – ২

উত্তরাখণ্ড – ১

রাজ্যসভা নির্বাচনের পদ্ধতি :

রাজ্যের বিধানসভায় খোলা ব্যালটের মাধ্যে রাজ্যসভার নির্বাচনের ভোটদান প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ প্রকাশ্যেই বিধায়করা ভোট দিয়ে থাকেন। এই প্রক্রিয়ায় প্রতি বিধায়কের ভোট একবার গণনা করা হয়।

রাজ্য়সভার ভোটদানের ফর্মুলা :

রাজ্য বিধানসভায় বিধায়করা প্রতিটি আসনের জন্য ভোট দিতে পারেন না। এরকম প্রক্রিয়া হলে তো শুধুমাত্র বিধানসভায় সংখ্যাগুরু দলই রাজ্যসভায় তাদের সাংসদ পাঠাতে পারত। আদতে হিসেবটা সেরকম নয়। বিধায়কদের পছন্দসই প্রার্থীদের একটি তালিকা বানাতে হয়। রাজ্য়সভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচনে জেতার জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট লাগে। প্রতিটি রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে এই সংখ্য়াটা ভিন্ন হয়। যদি সেই নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোটার কোনও প্রার্থীকে তাঁদের প্রথম পছন্দ হিসেবে বেছে নেন তাহলে তিনি রাজ্য়সভার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। অবশিষ্ট ভোট যায় পরবর্তী প্রার্থীদের কাছে। তবে সেই ভোটের মান তখন কমে যায়। তাই এক্ষেত্রে দেখাই যায় বিধায়করা অন্য দলের প্রার্থীকেও ভোট দিচ্ছেন।

কোনও প্রার্থী যদি কোনও বিধায়ক বা ভোটারের বাছাই তালিকায় ১ নম্বরে থাকেন তাহলে তিনি রাজ্য়সভার সাংসদ হওয়ার দৌড়ে প্রথমে থাকেন। বিজয়ী হওয়ার জন্য একজন প্রার্থীর নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রথম পছন্দের ভোট প্রয়োজন। সেই সংখ্যাটি রাজ্য বিধানসভার শক্তি ও সেই রাজ্যের মোট রাজ্য়সভার সাংসদ সংখ্যার উপর নির্ভর করে। জয়ী হতে একজন প্রার্থীকে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট পেতে হবে। একে কোটা বা পছন্দের ভোটও বলা যেতে পারে। রাজ্য়সভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ফর্মুলাটি হল = [মোট ভোটের (বিধায়কের) সংখ্য়া/ (রাজ্যসভার আসন সংখ্যা + ১)] + ১

তবে একটির বেশি পদে নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই ফর্মুলার পরিবর্তন হয়। এই ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীর জন্য মোট প্রয়োজনীয় ভোটের সংখ্যা হল= [(ভোটের (বিধায়কের) সংখ্যা x ১০০) / (খালি আসন+১)] + ১