Amit Shah: রাজ্যসভায় পাস দুই জম্মু-কাশ্মীর বিল, নেহরুকে উদ্ধৃত করেই তাঁর ভুল ধরালেন শাহ

Rajya Sabha Passes Jammu and Kashmir Bills: ৬ ডিসেম্বর লোকসভায় পাস হয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। এদিন এই দুটি বিলকে অনুমোদন দিল রাজ্যসভাও। এরপর, রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলদুটি আইনে পরিণত হবে।

Amit Shah: রাজ্যসভায় পাস দুই জম্মু-কাশ্মীর বিল, নেহরুকে উদ্ধৃত করেই তাঁর ভুল ধরালেন শাহ
রাজ্যসভায় বিলদুটির বিষয়ে আলোচনা করছেন অমিত শাহImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 11, 2023 | 9:21 PM

নয়া দিল্লি: সোমবার (১১ ডিসেম্বর), সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিল করার সিদ্ধান্ত সাংবিধানিকভাবে বৈধ ছিল। আর একই দিনে, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরি পণ্ডিত উদ্বাস্তু এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষদের জন্য আসন সংরক্ষণকারী দুটি বিল পাস করল রাজ্যসভা। ৬ ডিসেম্বর লোকসভায় পাস হয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২৩ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৩। এদিন এই দুটি বিলকে অনুমোদন দিল রাজ্যসভাও। এরপর, রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই বিলদুটি আইনে পরিণত হবে। কাজেই, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের জন্য, সোমবারকে এক ঐতিহাসিক দিন বলা যেতে পারে।

এদিন রাজ্যসভায় এই বিলদুটির বিষয়ে আলোচনার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, “আগে জম্মুতে ৩৭টি আসন ছিল। এখন সীমানা পুনর্বিন্যাসের পর, ৪৩টি আসন রয়েছে। আগে কাশ্মীরে ছিল ৪৬টি আসন, এখন রয়েছে ৪৭টি। পাকিস্তান-অধিকৃত-কাশ্মীরের জন্য ২৪টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের এবং কেউ এটা আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না।”

প্রথম বিলটি ২০০৪-এর জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে নিয়োগ এবং পেশাদার প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য সামাজিক ও শিক্ষাগতভাবে অনগ্রসর শ্রেণির মানুষদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলে। প্রস্তাবিত বিলটিতে বিধানসভা আসনের সংখ্যা বাড়িয়ে, তফসিলি জাতির জন্য সাতটি আসন এবং তফসিলি উপজাতিদের জন্য নয়টি আসন সংরক্ষণ করার কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় বিলটি ২০১৯ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের সংশোধনী। এই সংশোধনীতে মূল আইনটিতে ১৫-র ক এবং ১৫-র খ – দুটি নতুন ধারা সংযোগ করার কথা বলা হয়েছে। এই দুটি ধারা যোগ হলে, জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় কাশ্মীরি উদ্বাস্তু সম্প্রদায় থেকে একটি মহিলা আসন-সহ মোট দুটি আসন এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বাস্তুচ্যুতদের জন্য একটি আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।

এদিন এই বিলদুটির উপর আলোচনার সময়, এদিন ফের পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর সমস্যা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে দায়ী করেছেন অমিত শাহ। অমিত শাহ দাবি করেন, কাশ্মীরে যদি অসময়ে যুদ্ধবিরতি না ঘোষণা করা হত, তবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর তৈরিই হত না। এই বিষয়ে খোদ জওহরলাল নেহরুর একটি উদ্ধৃতি পড়ে শোনান তিনি। রাজ্যসভায় তিনি বলেন, “সবাই জানে, অসময়ে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করা হলে, আজ পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থাকত না। আমি একটি বিবৃতি পড়ে শোনাতে চাই। এটি জওহরলাল নেহেরুর উদ্ধৃতি। ওঁর কথা তো মানবেন, নাকি উনি ভুল করেছিলেন তা আপনারা মানবেনই না?”