‘দাবি পূরণ না হলে বাড়ি ফিরবে না কৃষকরা’, চাক্কা জ্যাম শেষে ঘোষণা তিকাইতের

পঞ্জাবের ১৫টি জেলার ৩৩টি অঞ্চলে বিভিন্ন হাইওয়ে ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ভাটিন্দা, বারনালা, সাংগুর সহ বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাক্টর রেখে পথ আটকে দেন কৃষকরা। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকে ব্যারিকেড সরিয়ে যেতে দেওয়া হয়।

'দাবি পূরণ না হলে বাড়ি ফিরবে না কৃষকরা', চাক্কা জ্যাম শেষে ঘোষণা তিকাইতের
গাজিপুর সীমান্তে সভামঞ্চে রাকেশ তিকাইত। ছবি:ANI
Follow Us:
| Updated on: Feb 06, 2021 | 5:26 PM

নয়া দিল্লি: দাবি পূরণ না হওয়া অবধি বাড়ি ফিরবেন না কৃষকরা, শনিবার একথা সাফ জানিয়ে দিল ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ তিকাইত (Rakesh Tikait)। এদিন চাক্কা জ্যাম (Chakka Jam) কর্মসূচি শেষে গাজিপুর সীমান্ত থেকে তিনি বলেন, “আগামী ২ অক্টোবর অবধি আন্দোলন কর্মসূচি জারি রাখা হবে। এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্র আইন প্রত্যাহার না করলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লি সীমান্তে চলছে কৃষক আন্দোলন (Farmers Protest)। আজ কৃষক সংগঠনগুলির তরফে দেশজুড়ে তিনঘণ্টার জন্য চাক্কা জ্যামের ডাক দেওয়া হয়েছিল, তবে দিল্লি, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডকে বাদ রাখা হয়েছিল সেই কর্মসূচি থেকে। কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মাঝেই আপাতভাবে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হয় চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি। তবে দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থেকে সমস্যায় পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

দুপুর তিনটেয় কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর গাজিপুর সীমান্ত থেকে কৃষক নেতা রাকেশ তিকাইত বলেন, “আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া অবধি কেউ বাড়ি ফিরবে না। আপাতত ২ অক্টোবর অবধি কেন্দ্রকে সময় দেওয়া হচ্ছে আইন প্রত্যাহারের জন্য। এরপরে পরবর্তী কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হবে। তবে কোনও চাপের মুখে পড়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসব না।”

আরও পড়ুন: কঠোর হচ্ছে আইন, পশুদের প্রতি নৃশংসতায় হতে পারে ৫ বছরের জেল

দিল্লি, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড বাদে বিভিন্ন রাজ্যে এক প্রকার জোর করেই চাক্কা জ্যাম কর্মসূচি পালন করা হয়। পঞ্জাবের ১৫টি জেলার ৩৩টি অঞ্চলে বিভিন্ন হাইওয়ে ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ভাটিন্দা, বারনালা, সাংগুর সহ বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাক্টর রেখে পথ আটকে দেন কৃষকরা। তবে অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিষেবার গাড়িগুলিকে ব্যারিকেড সরিয়ে যেতে দেওয়া হয়।

কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ সম্পর্কে রাকেশ তিকাইত জানান, আমরা কেবল কৃষি আইনের প্রতিবাদ করছি। এরসঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা কৃষকদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেই আন্দোলনস্থলে আসছেন। এদিকে, গতকালই কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) রাজ্যসভায় বলেন, “কেবল একটি রাজ্যেই আন্দোলন সীমাবদ্ধ রয়েছে। আমরা আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাবও দিয়েছিলাম। তবে এখনও অবধি আন্দোলনকারী কৃষক বা রাজনৈতিক দলের নেতারা আইনে কোনও খামতি দেখাতে পারেননি।”

আরও পড়ুন: বম্বে হাইকোর্টে জামিন মঞ্জুর ধর্ষণে অভিযুক্তর, ‘নাবালিকার সম্মতির বিষয়টি ধোঁয়াশাপূর্ণ’