কুম্ভ থেকে শিক্ষা, অযোধ্যায় রামনবমী মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত যোগী প্রশাসনের

গত বছরও করোনা-আবহে অযোধ্যায় রামনবমী মেলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে টানা দু' বছর বন্ধ থাকছে অযোধ্যার বিখ্যাত মেলা (Ayodhya Ram Navami celebration)।

কুম্ভ থেকে শিক্ষা, অযোধ্যায় রামনবমী মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত যোগী প্রশাসনের
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Apr 17, 2021 | 11:44 PM

নয়া দিল্লি: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ইতিমধ্যেই দেশের বেশ কয়েকটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভক্তদের প্রবেশ বন্ধ হয়েছে। বড় জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ব্যতিক্রম হল না অযোধ্যার রামনবমী মেলাও। দেশে দ্রুতগতিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির দিকে নজর রেখে অযোধ্যার বিখ্যাত রামনবমী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল যোগী সরকার।

গত বছরও করোনা-আবহে অযোধ্যায় রামনবমী মেলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এ নিয়ে টানা দু’ বছর বন্ধ থাকছে অযোধ্যার বিখ্যাত মেলা।

কুম্ভ মেলায় জড়ো হওয়া হাজার হাজার পুণ্যার্থীর মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছরও রামনবমী মেলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। এমনকী হরিদ্বার কুম্ভ থেকে আগত পুণ্যার্থীদের অযোধ্যা মন্দিরে ঢোকার ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার প্রশাসনের তরফে পুণ্যার্থীদের বলা হয়েছে, বাড়িতে রাম নবমী উৎসব পালন করুন সবাই। এবার মন্দিরে কোনওরকম জমায়েত নিষিদ্ধ। জেলা শাসক অনুজ কুমার ঝা সংবাদমাধ্যমকে জানান, করোনা শৃঙ্খল ভাঙাই এখন প্রশাসনের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। তাই অযোধ্যায় কোনওরকম জমায়েত ঠেকাতে আমরা কার্যকরী পদক্ষেপ করছি।

রামজন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাসও জানান, “এবার রামনবমীতে কোনও পুণ্যার্থী আসছেন না। সেদিন মাত্র একজন পুরোহিত, একজন পুলিশ অফিসার এবং রামলাল্লা বিরাজমান উপস্থিত থাকছেন।” এদিকে শুধু পুণ্যার্থীই নন, কোনও সাধু-সন্তরেও এবার রামনবমী অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নেই বলে জানিয়েছে যোগী প্রশাসন।

আরও পড়ুন: ‘মন্দির অযোধ্যায় হচ্ছে, আর কষ্ট পাচ্ছেন দিদি’, উত্তর প্রদেশ মডেলে বাংলা গড়ার ডাক যোগীর 

অযোধ্যায় রামনবমী মেলায় প্রতি বছর প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। কিন্তু এ বারের মেলার অন্য গুরুত্ব রয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্ট অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার পরে গত বছর ছিল প্রথম রামনবমী মেলা। কিন্তু অতিমারি করোনার কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাই এ বছর বিপুল ভক্ত সমাগমের সম্ভাবনা ছিল। এ নিয়ে সরযূকৃষ্ণ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মোহন্ত যুগল কিশোর শাস্ত্রীর কথায়, “চাইনা কুম্ভ মেলার ভুল কোনওভাবেই অযোধ্যায় পুনরাবৃত্তি হোক।”