‘বাঁচাও’ বলে চীৎকার, তারপরই একেবারে থেমে গেল মেয়েটার কন্ঠস্বর! অডিয়ো ক্লিপ, নখের দাগই চিনিয়ে দিল ধর্ষককে
Kho Kho player Raped: ২৪ বছরের খো খো প্লেয়ার এক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতার ওড়না দিয়েই গলায় লাগানো হয় ফাঁস।
বিজনোর: জাতীয় স্তরে খো খো খেলতেন ২৪ বছরের ওই তরুণী। চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে সে দিন বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। বন্ধুর সঙ্গে সঙ্গে ফোনে কথা বলতে বলতে যখন স্টেশন চত্বর দিয়ে হাঁটছিলেন, সেই সময় তাঁকে টেনে নিয়ে যায় এক যুবক। প্রথমে ধর্ষণ (Rape), তারপর খুন (murder)! অভিযোগ অন্তত তেমনটাই। তরুণীর ওড়না দিয়েই গলায় লাগানো হয় ফাঁস। সেই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার (arrest) রতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। তরুণী ঘটনার সময় যে বন্ধুর সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন, তাঁর ফোন থেকেই পাওয়া গিয়েছে অডিয়ো ক্লিপ। ফোন ধরেই সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করছিলেন ওই তরুণী। এটুকুই শোনা গিয়েছিল আর কিছুক্ষণের মধ্যে সব শেষ।
উত্তর প্রদেশের বিজনোরের ঘটনা। অডিয়ো ক্লিপের সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম শেহজাদ ওরফে হাদিম। রেল স্টেশনে শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ সেপ্টেম্বর তরুণী যখন চাকরির পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিলেন, তখন স্টেশন চত্বর থেকে তাঁকে পড়ে থাকা রেলওয়ে স্লিপারের দিকে টেনে নিয়ে যায় ওই যুবক। ফোন ধরেই তখন সাহায্যের জন্য চীৎকার করতে থাকেন তরুণী। এরপরই তরুণীর গলায় পেঁচিয়ে দেওয়া হয় তাঁরই ওড়না। ফোনে তাঁর বন্ধু শুনতে পান সেই চীৎকার। কিছুক্ষণের মধ্যেও নিশ্চুপ হয়ে যায় তরুণী।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর ফোন নিয়ে পালায় ঘটনাস্থল থেকে। স্লিপারের ওপরেই পড়ে থাকে মৃত তরুণীর দেহ। পরে স্থানীয়রা দেখেন চারপাশ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। তরুণীর দুটো দাঁতও নেই। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় ও মৃতদেহ ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। পরিবারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বাড়ি পৌঁছে বন্ধ করে দেয় তরুণীর ফোন। কিন্তু ফোনের শেষ অবস্থান জানা সম্ভব হয় পুলিশের পক্ষে। সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্তের বাড়ি পৌঁছে যায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পেয়েছে দুটি শার্টের বোতাম। সেই শার্ট অভিযুক্তের বলে জানা গিয়েছে। শার্টটিতে ছিল রক্তের দাগও, যা বাড়ি পৌঁছতে ধুয়ে পরিস্কার করে দেয় অভিযুক্তদের স্ত্রী। এ ছাড়া অভিযুক্তের পিঠে নখের দাগও দেখতে পেয়েছে পুলিশ। সেই নখের দাগের সঙ্গে নির্যাতিতার ডিএনএ মিলে যাচ্ছে কি না, তা জানতে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে অভিযুক্ত শুধু বিবাহিতই নয়, তার এক কন্যা সন্তানও রয়েছে। প্রায়ই ড্রাগের নেশায় মত্ত থাকে সেখ রেল স্টেশনের জিনিসপত্র চুরি করার অন্তত চারটি অভিযোগ তার বিরুদ্ধে জমা পড়েছে স্থানীয় থানায়। ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত করেছে রেল পুলিশ। পরে তদন্তভার গ্রহণ করেছে বিজনোর পুলিশ। পুলিশ সুপার ধরমবীর সিং এই তদন্তের জন্য ২৫ হাজার টাকার পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: বাড়িতে যৌন উদ্দীপক ট্যাবলেট, কন্ডোমের ডাঁই! ভাগ্নীকে যৌন হেনস্থায় ১০ বছরের জেল মামার