Speed Limit: কোন যুক্তিতে সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১২০ কিমি? অবিলম্বে গতি কমিয়ে ৮০ করতে বলল হাইকোর্ট
Speed Limit: ২০১৮-তে গাড়িত সর্বোচ্চ গতি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা করার নির্দেশিকা দেয় কেন্দ্র। সেই গতিই এবার কমাতে বলল হাইকোর্ট (High Court)।
চেন্নাই: দেশ জুড়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি দুর্ঘটনায় বেশির ভাগ সময়ই কারণ হিসেবে সামনে আসে বেপরোয়া গতি। নিয়ন্ত্রণহীন গতিতে গাড়ি চালানোর শিকার হতে হয় বহু মানুষকে। গাড়ির সর্বোচ্চ গতিবেগ (Speed Limit) কত হবে, বছর তিনেক আগে সেই বিষয়ে নয়া নির্দেশিকা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। সেই গতি ১০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টা করা হয়। অর্থাৎ বর্তমানে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বেগে গাড়ি চালানো বৈধ। কিন্তু সেই নির্দেশিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলল আদালত। অবিলম্বে সর্বোচ্চ গতি কমানোর কথা বলল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। ২০১৪ সালের ৫ অগস্টের নির্দেশকায় গাড়ির সর্বোচ্চ গতি ছিল ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। হাইকোর্টের নির্দেশ অবিলম্বে সেই পুরনো গতিই বেঁধে দেওয়া প্রয়োজন।
দুর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে গাড়ি বেপরোয়া গতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পথ দুর্ঘটনার জন্য গতিকেই দায়ী করেন বিচারপতিরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি ছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টে। বিচারপতি এন কিরুবাকরণ ও বিচারপতি ভি থামিসেলভির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানু চলাকালীন গতি সংক্রান্ত কেন্দ্রের নির্দেশিকা নিয়ে আপত্তি জানান বিচারপতিরা। একদিকে যখন সরকারের ব্যাখ্যা, গাড়ির ইঞ্জিনের প্রযুক্তি, উন্নত মানের রাস্তার কারণেই সর্বোচ্চ গতি বাড়ানো হয়েছে। অন্যদিকে, বিচারপতিদের দাবি, গতিই যখন বারবার দুর্ঘটনার কারণ হয়ে উঠছে, তাহলে কেন কমানো হবে না সর্বোচ্চ গতি? ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এ দিন বলা হয়েছে, ‘পথ দুর্ঘটনার সবথেকে বড় কারণই যখন লাগামহীন গতি, তাহলে উন্নত মানের রাস্তা বা ইঞ্জিনের প্রযুক্তিতে দুর্ঘটনা কমবে কী ভাবে, তা জানা নেই।’
শুধু তাই নয়, আদালতের দাবি, গাড়ির ইঞ্জিন যত ভালো হবে, ততই গতি হবে নিয়ন্ত্রণহীন। আর তার জেরেই আরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটবে। তাই অবিলম্বে গতি কমিয়ে নয়া নির্দেশিকা দেওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, গতি নিয়ন্ত্রণ করতে আরও বেশি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে সরকারকে। স্পিড গান, স্পিড ইন্ডিকেশন ডিসপ্লে বা প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করতে হবে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করতে। আদালতের তরফে বলা হয়, ‘ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে আইন মেনে যাতে উপযুক্ত শাস্তি হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। উচ্চগতির গাড়ির ইঞ্জিন এমন ভাবে করতে হবে যাতে গাড়ি নির্ধারিত গতি পেরতে না পারে।’
এক দুর্ঘটনা সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। একজন মহিলা ডেন্টিস্ট ২০১৩ সালে দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। ওই ঘটনার পর তাঁর ৯০ শতাংশ সক্ষমতা হারিয়ে যায়। কাঞ্চিপুরম রোডে স্কুটিতে চেপে যাচ্ছিলেন ওই চিকিৎসক। সেই সময় বেপরোয়া গতির একটি এমটিসি বাস তাঁকে ধাক্কা মাসে। এরপরই গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। ওই ঘটনায় ক্ষতিপূরণ ক্ষতিপূরণের টাকা এ দিন বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। ১৮.৪ লক্ষ থেকে বাড়ি দেড় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মা মারা গেলে ‘ডিভোর্সি’ মেয়েকে চাকরি নয়, জানাল সুপ্রিম কোর্ট