Liquor Theft: রাতারাতি ফাঁকা মদের বোতল, হাপিস গাঁজাও, থানায় হানা দিল এ কোন ‘চোর’?
Madhya Pradesh: পুলিশের ওয়্যারহাউস থেকেই বাজেয়াপ্ত করা মদ উধাও হয়ে যেতেই রীতিমতো তদন্ত শুরু করা হয়। দেখা যায়, প্লাস্টিকের বোতলগুলি রাখা থাকলেও, ভিতরে এক বিন্দুও মদ নেই। বোতলগুলি ভাল করে দেখতেই নজরে এল যে সব বোতলেরই নীচের অংশ ফুটো।
ভোপাল: রাজ্য়ের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল মদ, গাঁজা সহ বিভিন্ন নেশার সামগ্রী। নিয়ম মাফিকই পুলিশের ওয়্যারহাউসে রাখা ছিল সেইসব বাজেয়াপ্ত সামগ্রী। নতুন করে বাজেয়াপ্ত হওয়া মদ রাখতে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হল পুলিশ কর্মীদের। দেখলেন, ফাঁকা অর্ধেকের বেশি বাজেয়াপ্ত করা মদের বোতল। তাহলে কী নিরাপত্তারক্ষীই? ধমক-চমক দিতেই তিনি হাতে-পায়ে ধরে বললেন, এমন বেআইনি কাজ করেননি। তাহলে বোতলের পর বোতল মদ খেল কে?
পুলিশের ওয়্যারহাউস থেকেই বাজেয়াপ্ত করা মদ উধাও হয়ে যেতেই রীতিমতো তদন্ত শুরু করা হয়। দেখা যায়, প্লাস্টিকের বোতলগুলি রাখা থাকলেও, ভিতরে এক বিন্দুও মদ নেই। বোতলগুলি ভাল করে দেখতেই নজরে এল যে সব বোতলেরই নীচের অংশ ফুটো। কেউ যেন কামড় বসিয়েছে। ব্যস বুঝতে আর বাকি রইল না। খাঁচা পাততেই ধরা পড়লেন চোরবাবাজি। তিনি আর কেউ নয়, আস্ত একটি ধেড়ে ইঁদুর। তার সাঙ্গপাঙ্গদের ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে এখনও।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য প্রদেশে। পুলিশের তরফে ‘মদ-চোর’ ইঁদুরের ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন, ওয়্যারহাউসে ইঁদুরের উপদ্রবেই সারি সারি মদের বোতল ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। বাজেয়াপ্ত করা কমপক্ষে ৬০ থেকে ৬৫টি প্লাস্টিকের মদের বোতল কেটে গিয়েছে ইঁদুর।
তবে শুধু মদই নয়। ইঁদুর খেয়ে নিচ্ছে গাঁজাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্মী জানান, ওয়্যারহাউসটি অনেক পুরোনো। ইঁদুরের রাজত্ব চলে সেখানে। বাজেয়াপ্ত করা মদের পাশাপাশি বস্তাবন্দি গাঁজাও খেয়ে নিচ্ছে ইঁদুর। বাধ্য হয়ে আপাতত তাঁরা টিনের বাক্সে বাজেয়াপ্ত গাঁজা ভরে রাখছেন। গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথিও কেটে দিচ্ছে মূষকবাহিনী। সে কারণে উচু র্যাকে নথি রাখা হচ্ছে।