Supreme Court: ‘স্বাস্থ্যের খুন করা হচ্ছে’, অবিলম্বে ন্যাড়াপোড়া বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

Air Pollution: মঙ্গলবার বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চের তরফে সাফ জানানো হয়, আতশবাজি নিয়ে নতুন করে কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ সালে সবুজ আতশবাজি বা গ্রিন ফায়ারক্রাকার ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা শুধুমাত্র দিল্লির জন্যই নয়, গোটা দেশেই প্রযোজ্য।

Supreme Court: 'স্বাস্থ্যের খুন করা হচ্ছে', অবিলম্বে ন্যাড়াপোড়া বন্ধের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
বায়ুদূষণে প্রাণ ওষ্ঠাগত দিল্লিবাসীর।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 08, 2023 | 10:03 AM

নয়া দিল্লি: গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে রাজধানী। শীত পড়া শুরু করতেই ফের একবার দিল্লি-এনসিআরে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। রাজধানীর এই ভয়ঙ্কর বিষাক্ত বাতাস নিয়ে এবার কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করল শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার বায়ুদূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, “সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের খুন করা হচ্ছে”। ২০২১ সালে গ্রিন আতশবাজি নিয়ে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাও শুধুমাত্র দিল্লি-এনসিআরের জন্য নয়, বরং গোটা দেশের জন্য, তা মনে করিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। বায়ুদূষণ রুখতে পঞ্জাবকে অবিলম্বে ন্যাড়াপোড়া বা ফসলের খড়কুটো পোড়ানো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ব্যারিয়াম সল্ট সহ একাধিক রাসায়নিক, যা থেকে বায়ু ও শব্দ দূষণ ছড়ায়, তার উপরে যে নিষেধাজ্ঞা  রয়েছে, তা রাজস্থান সরকারকেও অনুসরণ করতে হবে কি না, এ বিষয়ে স্বচ্ছ ব্যাখ্যার দাবিতেই পিটিশন দাখিল হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার বিচারপতি এএস বোপান্না ও বিচারপতি এমএম সুন্দ্রেশের বেঞ্চের তরফে সাফ জানানো হয়, আতশবাজি নিয়ে নতুন করে কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ সালে সবুজ আতশবাজি বা গ্রিন ফায়ারক্রাকার ব্যবহার নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা শুধুমাত্র দিল্লির জন্যই নয়, গোটা দেশেই প্রযোজ্য। রাজস্থান সরকারের সেই নির্দেশই অনুসরণ করা উচিত।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে আতশবাজির ব্যবহার নিয়ে মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে বাজির উপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হলেও, ব্যারিয়াম সল্ট দিয়ে তৈরি বাজির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার আগে ২০১৮ সালেও সুপ্রিম কোর্টের তরফে দিওয়ালিতে বাজি ফাটানোর সময়সীমা রাত ৮টা থেকে রাত ১০টা অবধি বেধে দেওয়া হয়েছিল। খ্রিস্টমাস ও নিউ ইয়ারের জন্য রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ১২টা অবধি সময় ধার্য করা হয়েছিল।

শীর্ষ আদালতের তরফে মঙ্গলবার বলা হয়, “আজকাল বাচ্চারা আর বাজি পোড়ায় না। বড়রাই বাজি পোড়ায়। পরিবেশ রক্ষার দায় সকলের। আতশবাজি নিয়ে যে নিয়ম রয়েছে, তা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এই ধরনের খামতির জন্য় যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”

সুপ্রিম কোর্টের কড়া ধমকের পরই পঞ্জাব সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাড়াপোড়া বন্ধ করার জন্য় কৃষকদের টাকা দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার ২৫ শতাংশ ব্যয়ভার বহন করতে রাজি। দিল্লি সরকারও ২৫ শতাংশ ব্যয় বহন করতে রাজি হয়েছে। বাকি ৫০ শতাংশ খরচ কেন্দ্রীয় সরকারকে বহন করতে আর্জি জানানো হয়েছে। ন্যাড়াপোড়া বন্ধ ও দূষণ প্রতিরোধ নিয়ে আজ পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, দিল্লি সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র।