Rs 2,000 currency: নোট বাতিল পর্বে ছিল ‘লাইফ লাইন’, মাত্র ৬ বছর ১০ মাস টিকল ২০০০ টাকার নোট
RBI withdrawing Rs 2,000 notes: ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর বাজারে ছাড়া হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। নোট বাতিলের সেই সময় ২০০০ টাকার নোট ছিল লাইফ লাইনের মতো। সব মিলিয়ে মাত্র ৬ বছর ১০ মাস টিকল এই ব্যাঙ্কনোট।

নয়া দিল্লি: শুক্রবার (১৯ মে), ২০০০ টাকার নোট নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজার থেকে যাবতীয় ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে আরবিআই। সাধারণ মানুষকে ওই তারিখের মধ্যেই তাদের কাছে থাকা ২০০০ টাকার নোটগুলি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। সেই সঙ্গে ২০০০ টাকার নোট আর নতুন করে ছাপা হবে না বলে জানানো হয়েছে। ২০১৬ সালে ৮ নভেম্বর পুরোনো ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করার পর, ওই বছরের ১০ নভেম্বর বাজারে ছাড়া হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। অর্থাৎ, সব মিলিয়ে ৬ বছর ১০ মাস টিকল ২০০০ টাকার নোট।
ক্রমে কমেছে ২০০০ টাকার নোট
বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬-র নভেম্বরে, আরবিআই ২০০০ টাকার নোট প্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই কর্নাটকের মাইসুরুর ট্যাঁকশালে ২০০০ টাকার নোট ছাপা শুরু হয়ে গিয়েছিল। নোট বাতিলের সময়, মানুষের লাইফলাইনে পরিণত হয়েছিল এই ২০০০ টাকার নোট। আরবিআই-এর তথ্য অনুসারে, ২০১৭-র মার্চের শেষে বাজারে ৩২৮ কোটি ৫০টি ২০০০ টাকার নোট প্রচলিত ছিল। এর এক বছরে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা সামান্যই বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে ২০০০ টাকার নোট ছিল ৩৩৬ কোটি ৩০ লক্ষটি। সেই সময় বাজারে মোট ১৮,০৩,৭০০ কোটি টাকার নোট ছিল। তার মধ্যে ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ ছিল ৩৭.৩ শতাংশ। ২০২০ সালের মার্চের শেষে ২০০০ টাকার নোটের পরিমাণ আরও কমে, ২২.৬ শতাংশে নেমে এসেছিল।
নকশা
২০০০ টাকার নোটটি নতুন মহাত্মা গান্ধী সিরিজের একটি নোট। এর পরিমাপ ৬৬ মিলিমিটার × ১৬৬ মিলিমিটার, রঙ ম্যাজেন্টা। এর একদিকে রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিকৃতি, অশোক স্তম্ভের প্রতীক এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের স্বাক্ষর। দৃষ্টিহীনরাও যাতে মুদ্রাটি শনাক্ত করতে পারেন, তার জন্য এতে ব্রেইল প্রিন্টও রয়েছে। বিপরীত দিকে ভারতের প্রথম আন্তঃগ্রহ মহাকাশ অভিযানে ব্যবহৃত মঙ্গলযানের একটি মোটিফ এবং স্বচ্ছ ভারত অভিযানের লোগো এবং ট্যাগ লাইন রয়েছে।
২০১৮-১৯ থেকে বন্ধ ছাপা
২০১৮-১৯ সালেই ২০০০ টাকার নোট ছাপা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে আরবিআই। তাদের তথ্য অনুযআয়ী ২০১৭ সালের মার্চের আগেই প্রায় ৮৯ শতাংশ ২০০০ টাকা নোট বাজারে ছাড়া হয়েছিল। আরবিআই আরও বলেছে, ২০০০ টাকার নোটগুলির আনুমানিক আয়ু ৪ থেকে ৫ বছর। কাজেই শেষ যে ২০০০ টাকার নোটগুলি ছাপা হয়েছিল, সেগুলি তাদের সম্ভাব্য আয়ুষ্কালের শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
বাজারে সবথেকে বেশি ২০০০-এর নোট ছিল ২০১৮-র ৩১ মার্চ
আরবিআই আরও জানিয়েছে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ বাজারে ২০০০ টাকার নোটের সার্কুলেশন ছিল সর্বোচ্চ। সেই সময় ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট প্রচলিত ছিল। কিন্তু, তারপর থেকে ক্রমে ২০০০ টাকার নোটের সংখ্যা কমেছে। চলতি বছরের ৩১ মার্চের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ৩.৬২ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট বাজারে চালু আছে। যার পরিমাণ, প্রচলিত সমস্ত ব্যাঙ্কনোটের মাত্র ১০.৮ শতাংশ।
শেষ দিন ৩০ সেপ্টেম্বর
২৩ মার্চ থেকেই ব্যাঙ্কে গিয়ে ২০০০ টাকার নোট বদলানো যাবে বা নিজ নিজ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করা যাবে। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নোট বদল বা জমা করা যাবে। তারপরও অবশ্য এই নোট ব্যবহার করে বৈধ লেনদেন করা যাবে বলে জানিয়েছে আরবিআই। তবে, কার্যত ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরই ২০০০ টাকার নোটের শেষ দিন।





