AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

100 Days Work: ১০০ দিনের কাজের পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান চাইল কেন্দ্র, পাল্টা প্রশ্ন রাজ্যের

100 Days Work: ১৮ মে, বৃহস্পতিবার থেকে নয়া দিল্লিতে দু-দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠক বসে। ২৯টি রাজ্যেরই গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিবদের এই বৈঠকে ডাকা হয়।

100 Days Work: ১০০ দিনের কাজের পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান চাইল কেন্দ্র, পাল্টা প্রশ্ন রাজ্যের
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠক দিল্লিতে।
| Edited By: | Updated on: May 19, 2023 | 9:40 PM
Share

নয়া দিল্লি: ১০০ দিনের কাজ (100 days work), প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (PM awaas yojana), প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার প্রাপ্য টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না অভিযোগে বারবার সরব হয়েছে রাজ্য। এবার সরাসরি রাজ্যের কাছে এই সমস্ত কাজের পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান ও হিসাব চাইল কেন্দ্র। নয়া দিল্লিতে (New Delhi) দু-দিন ধরে চলা কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে, শুক্রবার রাজ্যের কাছে কেন্দ্রের প্রশ্ন, “বকেয়া কাজের হিসাব এবং পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান দিন। তা না হলে বকেয়া দেওয়া হবে কী করে?” যদিও ২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না তোপ দেগে “কিভাবে কাজ হবে?” বলে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য।

জানা গিয়েছে, ১৮ মে, বৃহস্পতিবার থেকে নয়া দিল্লিতে দু-দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের পর্যালোচনা বৈঠক বসে। ২৯টি রাজ্যেরই গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিবদের এই বৈঠকে ডাকা হয়। পশ্চিমবঙ্গের তরফে উপস্থিত ছিলেন গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি.উলঙ্গানাথান। এদিনের বৈঠকে মূলত ১০০ দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা ও পোষণ প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। সেই সময়ই পশ্চিমবঙ্গের সচিবের কাছে ১০০ দিনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে কেন্দ্রের তরফে হিসাব চাওয়া হয়। কী কাজ হয়েছে, সে ব্যাপারে পূর্ণাঙ্গ খতিয়ান না দিলে টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে কার্যত জানিয়ে দেয় কেন্দ্র।

যদিও রাজ্যের তরফে পাল্টা প্রশ্ন, “২০২১-২২ অর্থবর্ষ থেকে প্রাপ্য টাকা বাকি রয়েছে। তাহলে ১০০ দিনের কাজ সহ অন্যান্য প্রকল্পের কাজে অগ্রগতি হবে কী করে?” রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের দাবি, কেন্দ্রের কাছে মোট ৭০০০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া রয়েছে। অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজের পূর্ণাঙ্গ খতিয়ানের স্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি রাজ্য। তারপর আদৌ রাজ্যকে টাকা দেওয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে আর কিছু জানায়নি কেন্দ্র। ফলে এদিনের বৈঠক আদতে নিষ্ফলা রইল।

প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকার দাবিতে এর আগে কলকাতায় ধর্না-আন্দোলন বসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে তৃণমূল সাংসদেরাও ধর্নায় বসেন। তারপর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বকেয়া টাকা আদায়ের দাবি দিল্লিতে আসেন এবং কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু, সেই সময় মন্ত্রী দফতরে ছিলেন না। ফলে দেখা হয়নি। তবে কেন্দ্র টাকা না দিলে জেলা থেকে বঞ্চিতদের এনে আন্দোলন করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এতদিনে বকেয়া টাকা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্র আলোচনায় বসলেও আদতে কোনও সুরাহা হল না। এদিন বক্তব্য রাখার জন্য বাংলাকে খুব কম সময় দেওয়া হয়েছিল বলেও রাজ্যের অভিযোগ।