AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ladakh Crisis: মুশকিল আসান করতে সাহায্য চাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কাতর আর্জি বাস্তবের ‘রাঞ্চো’র

Climate change: সোনম ওয়াংচুক বলেন, "যদি এভাবেই লাদাখের পরিবেশ নিয়ে অবহেলা করা হয় এবং শিল্প থেকে লাদাখকে রক্ষা না করা যায়, তবে এখানের হিমবাহুগুলি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, যার ফলে ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে ব্য়াপক জলের অভাব ও কষ্ট দেখা দেবে।"

Ladakh Crisis: মুশকিল আসান করতে সাহায্য চাই প্রধানমন্ত্রী মোদীর, কাতর আর্জি বাস্তবের 'রাঞ্চো'র
বাস্তবের 'রাঞ্চো' সোনম ওয়াংচুক।
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2023 | 1:50 PM
Share

লাদাখ: থ্রি ইডিয়টসের (3 Idiots) কথা মনে আছে? দেশ তথা গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছিল ২০০৯ সালের এই সিনেমা। তিন বন্ধুর কলেজ ও তার পরবর্তী জীবনের মধ্যে দিয়েই শিক্ষা ব্যবস্থা ও পড়ুয়াদের ইঁদুর দৌড়ের কুপ্রভাব নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এই ৩ ই়ডিয়টস সিনেমার প্রধান চরিত্র ফুনসুক বাংরু বাস্তবে যার জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছিল, তিনি হলেন সোনম ওয়াংচুক (Sonam Wangchuk)। সত্যিই রাঞ্চোর মতো তাঁর লাদাখে একটি স্কুল রয়েছে, যা গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে পড়ুয়াদের জীবনের পাঠ দেয়। বাস্তবের সেই ‘রাঞ্চো’ই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র কাছে বিশেষ আর্জি জানালেন। সম্প্রতিই বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায় দাবি করা হয় যে লাদাখের দুই-তৃতীয়াংশ হিমবাহই গলে যাচ্ছে। এই বিষয়টি উল্লেখ করেই সোনম প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে লাদাখের (Ladakh) প্রাকৃতিক পরিবেশের সুরক্ষা ও সংরক্ষণ করার আর্জি জানান।

রবিবার সংবাদসংস্থা এএনআই-র মুখোমুখি হয়ে সোনম ওয়াংচুক বলেন, “যদি এভাবেই লাদাখের পরিবেশ নিয়ে অবহেলা করা হয় এবং শিল্প থেকে লাদাখকে রক্ষা না করা যায়, তবে এখানের হিমবাহুগুলি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাবে, যার ফলে ভারত ও প্রতিবেশী দেশগুলিতে ব্য়াপক জলের অভাব ও কষ্ট দেখা দেবে। যদি এখনই সঠিক পদক্ষেপ না করা হয়, তবে লাদাখে শিল্প, পর্যটন ও বাণিজ্য ফুলেফেঁপে উঠবে এবং ভবিষ্যতে তা লাদাখকেই শেষ করে দেবে। সম্প্রতিই কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য গবেষণা সংস্থাগুলির গবেষণায় জানানো হয়েছে, লেহ-লাদাখে যে হিমবাহগুলি রয়েছে, তার দুই তৃতীয়াংশই বিনষ্ট হয়ে যাবে যদি সঠিকভাবে যত্ন না নেওয়া হয়। কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হাইওয়ে ও মানুষের গতিবিধির কারণে তুলনামূলকভাবে দ্রুত হারে লাদাখের হিমবাহগুলি গলে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিশ্বায়নের (Global Warming) জন্য শুধুমাত্র আমেরিকা ও ইউরোপ দায়ী নয়, বরং স্থানীয় এলাকার দূষণ ও বিষাক্ত গ্যাস নির্গমনও সমানভাবে দায়ী। লাদাখের মতো এলাকায় মানুষের গতিবিধি অত্যন্ত কম হওয়া উচিত, যাতে হিমবাহগুলি অক্ষত থাকে।”

প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে আমার আর্জি লাদাখ ও হিমালয়ের অন্যান্য অঞ্চলগুলিকে যেন শিল্পের শোষণ থেকে সুরক্ষা দেওয়া হয়। এটি সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকাকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে আমার বিশ্বাস, সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত এবং কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা উচিত।”