NCP Vs NCP: বিদ্রোহের ২ দিন আগেই শরদকে সরিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন অজিত! বিস্ফোরক দাবি কমিশনের কাছে

Election Commission Of India: বিদ্রোহী বিধায়কদের পাঠানো চিঠিতে লেখা রয়েছে তারা গত ৩০ জুন অজিত পওয়ারকে দলের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন। ৪০ জন বিধায়ক-সাংসদ ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে হলফনামায় সাক্ষরও করেছিলেন।

NCP Vs NCP: বিদ্রোহের ২ দিন আগেই শরদকে সরিয়ে সভাপতি হয়েছিলেন অজিত! বিস্ফোরক দাবি কমিশনের কাছে
বৈঠকে অজিত পওয়ার।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2023 | 6:42 AM

মুম্বই: ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (Nationalist Congress Party) প্রধান শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) নন, অজিত পওয়ারই (Ajit Pawar)! বুধবার এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করলেন এনসিপির বিদ্রোহী নেতা। দুই দশক আগে শরদ পওয়ার যে দল তৈরি করেছিলেন, অজিত পওয়ারের বিদ্রোহ ঘোষণা করার দুই দিন আগে সেই দলের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রায় ৪০ জন বিধায়ক, সাংসদদের সমর্থনেই তিনি দলের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বুধবার এমনটাই জানানো হল নির্বাচন কমিশনকে (Election Commission of India)।

বুধবার একই সঙ্গে এনসিপির দুই শিবিরের বৈঠক ছিল। এক বৈঠকের নেতৃত্বে ছিলেন শরদ পওয়ার, অপর বৈঠক ডেকেছিলেন বিদ্রোহী ভাইপো অজিত পওয়ার। ওই বৈঠকের পরই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে অজিত পওয়ারের শিবির, এমনটাই সূত্রের খবর ছিল। এবং হলও তাই। কমিশনের গিয়ে নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা জানাল অজিত পওয়ারের সমর্থনে থাকা বিধায়করা। এনসিপির নাম ও প্রতীকের উপরও নিজেদের অধিকার জাহির করলেন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, বিদ্রোহী বিধায়কদের পাঠানো চিঠিতে লেখা রয়েছে তারা গত ৩০ জুন অজিত পওয়ারকে দলের সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করেছিলেন। ৪০ জন বিধায়ক-সাংসদ ওই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে হলফনামায় সাক্ষরও করেছিলেন। বিদ্রোহী শিবিরের তরফে দাবি করা হয়েছে, তারাই আসল এনসিপি। দলের নাম ও প্রতীকের উপরে অধিকার চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

অন্য়দিকে, শরদ পওয়ারের শিবিরের তরফেও জয়ন্ত পাটিল চিঠি পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। সেই চিঠিতে বিদ্রোহী সাংসদ ও বিধায়কদের দল থেকে বিতাড়িত করা এবং তাদের বিরুদ্ধে পদ খারিজের মামলার উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এক বছর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল। এনসিপির মতো ভাঙন ধরেছিল শিবসেনাতেও। সেই সময় দলের উপরে কার অধিকার, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব ঠাকরে ও একনাথ শিন্ডের শিবির দ্বারস্থ হলে, শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয় যে আইনসভার দল রাজনৈতিক দলের থেকে ভিন্ন বা স্বাধীন হতে পারে না। অর্থাৎ একদল বিধায়ক নিজে থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানাতে পারে না। কেবলমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জোরে তারা দলবিরোধী কার্যকলাপ আইন থেকে রক্ষা পেতে পারে না।