Load Shading Rules: ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং? এবার গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য় হবে সংস্থা

Power Ministry: ২০২০ সালেই বিদ্যুৎ (গ্রাহকের অধিকার) বিধিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল যে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যদি অকারণে বা ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করে, তবে তারা গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য।

Load Shading Rules: ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং? এবার গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য় হবে সংস্থা
প্রতীকী চিত্রImage Credit source: Pixabay
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2023 | 7:30 AM

নয়া দিল্লি: এপ্রিল-মে মাসে যেমন গরম পড়েছিল, তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল লোডশেডিংয়ের সমস্যা। কয়েক মিনিট থেকে কয়েক ঘণ্টা, কখনও বা প্রায় একদিন ধরে বিদ্যুৎ পরিষেবা পাচ্ছিলেন না সাধারণ মানুষ। শুধু কলকাতাই নয়, শহরতলিতেওএকই চিত্র ছিল। গরমে যেখানে এমনিই এসি-ফ্যান ছাড়া চলা দায় হয়ে উঠেছিল, সেখানেই ঘনঘন লোডশেডিং আরও ঝঞ্ঝাট বাড়িয়েছিল। এবার বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলিতে লোডশেডিং নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল বিদ্যুৎ মন্ত্রক। জানানো হল, কোনও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী বা বন্টন সংস্থা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করে, তবে এবার থেকে তাদের গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করে, তবে তাদের গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। বিদ্যুতের বিলের সঙ্গে ওই ক্ষতিপূরণ অ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে। সহজ কথায় বলতে গেলে, বিলের জন্য ধার্য টাকা থেকে ওই ক্ষতিপূরণের মূল্য বাদ দেওয়া হবে। শুধুমাত্র লোডশেডিংই নয়, নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ, ভোল্টেজ ও বিল সংক্রান্ত যদি কোনও অভিযোগ থাকে গ্রাহকের এবং অভিযোগ জানানোর পর একটি নির্দিষ্ট সময় অবধি সেই সমস্যার সমাধান না করা হয়, তবে বিদ্যুৎ সংস্থা ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকবে।

কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালেই বিদ্যুৎ (গ্রাহকের অধিকার) বিধিতে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছিল যে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যদি অকারণে বা ইচ্ছাকৃতভাবে লোডশেডিং করে, তবে তারা গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কারণ ২৪ ঘণ্টা বিদ্য়ুৎ পরিষেবা পাওয়া গ্রাহকের অধিকার।

ইচ্ছাকৃত লোডশেডিং কী?

কোনও এলাকায় চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি হলে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাকে লোডশেডিং করে ঘাটতি পূরণ করতে হয়। কিন্তু বিদ্যুতের অতিরিক্ত চাহিদা আগে থেকে জানা সত্ত্বেও যদি সেই বিদ্যুৎ জোগান দিতে না পারে, তখন কোনও একটি নির্দিষ্ট এলাকায় লোডশেডিং করিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়।

রাজ্যেও ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ ইলেকট্রিসিটি রেগুলেটরি কমিশন রেগুলেশনের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিকল্পনামাফিক ও অ-পরিকল্পনামাফিক লোডশেডিং বা পাওয়ার কাটের তথ্য প্রত্যেক সপ্তাহে এলাকা ভিত্তিক ধরে জানাতে হবে।