Ajit Pawar: ‘মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই’, মনের কথা মুখেও বললেন অজিত
NCP Vs NCP: অজিত পওয়ার ৪০ জন সাংসদ-বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করলেও, গতকালের বৈঠকে মঞ্চে ২৯ জন বিধায়ককে ডাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে, শরদ পওয়ারের ডাকা বৈঠকে ১৭ জন বিধায়ক হাজির ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে।
মুম্বই: শিবির বদলের সিদ্ধান্ত, তারপরই রাতারাতি উপমুখ্যমন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। এবার মনের গোপন ইচ্ছাও প্রকাশ করলেন এনসিপি (NCP) নেতা । বললেন, “কোনও একদিন আমি মুখ্য়মন্ত্রী হতে চাই”। বুধবার মহারাষ্ট্রে চলছিল মহা নাটক। কে আসল এনসিপি, তা প্রমাণ করতে শরদ পওয়ার ও অজিত পওয়ার-দুই শিবিরই বৈঠক ডেকেছিল। অজিত পওয়ারের দাবি, তাঁর ডাকা বৈঠকেই বেশি সংখ্যক বিধায়করা যোগ দিয়েছিলেন। নিজেদের সংখ্য়াগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে নির্বাচন কমিশনেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। এনসিপির নাম ও প্রতীকের উপরে অধিকার দাবি করেছেন। অন্যদিকে, শরদ পওয়ারও (Sharad Pawar) পাল্টা জবাবে জানিয়েছেন, এনসিপির প্রতীক কোথাও যাবে না।
বুধবারের বৈঠকের পরই অজিত পওয়ারের নেতৃত্বে থাকা এনসিপি শিবির নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে, ২ জুলাইয়ের বিদ্রোহের দুইদিন আগেই, ৩০ জুন অজিত পওয়ারকে এনসিপির সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল। ৪০ বিধায়ক-সাংসদ তাঁকে সমর্থন জানিয়ে হলফনামায় সাক্ষরও করেছিলেন। তাঁরা নিজেদের আসল এনসিপি বলে দাবি করে, এনসিপির নাম ও প্রতীকের উপরে অধিকার জানিয়েছেন।
এদিকে, শরদ পওয়ারও পাল্টা জবাবো বলেন, “আপনাদের চিন্তার কোনও কারণ নেই। প্রতীকের অভাব হবে না আপনাদের। এনসিপির প্রতীক কোথাও যাচ্ছে না। যদি কেউ বলে যে আমাদের প্রতীক নিয়ে নেবে, তবে আমি বলে দিচ্ছি, এই প্রতীক আমাদের সঙ্গেই থাকবে। যদি দলীয় কর্মীদের মধ্যে আমাদের মতাদর্শ থাকে, তবে চিন্তার কারণ নেই। আমি একাধিক প্রতীকে লড়েছি।”
বৈঠক নিয়ে তিনি আরও বলেন, “কতজন বিধায়ক আমাদের সঙ্গে রয়েছে, তা নিয়ে আজকের আলোচনা ছিল। আমি এইসব বিষয়ে গুরুত্ব দিই না। অতীতে আমার কাছে ৬৮জন বিধায়ক ছিল, কিন্তু আমি যখন কিছুদিনের জন্য সরে গিয়েছিলাম, তখন ৬২ জনই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। মাত্র ৬ জন ছিল আমাদের সঙ্গে। নির্বাচনের সময় ওই ৬২ জনের মধ্যে মাত্র ৪জন ফেরত এসেছিলেন। তবুও আমরা নতুন মুখ নিয়েই নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম।”
অজিত পওয়ার ৪০ জন সাংসদ-বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দাবি করলেও, গতকালের বৈঠকে মঞ্চে ২৯ জন বিধায়ককে ডাকতে দেখা যায়। অন্যদিকে, শরদ পওয়ারের ডাকা বৈঠকে ১৭ জন বিধায়ক হাজির ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। কয়েকজন বিধায়ক যেমন দুই বৈঠকেই হাজির হয়েছিলেন, কয়েকজন আবার কোনও শিবিরের বৈঠকেই যোগ দেননি।
শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দুই শিবিরকে ডাকতে পারে। যদি ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৫০ জনও অজিত পওয়ারের সঙ্গে থাকে, তবুও তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগী আইনে পদ খারিজের পদক্ষেপ করা যেতে পারে।