Household Toilet Facilities: ১০০ শতাংশ শৌচালয় লক্ষদ্বীপ-মিজোরামে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কেমন জানেন?

Household Toilet Facilities: দেশের তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারে শৌচালয় ব্যবহারের পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক

Household Toilet Facilities: ১০০ শতাংশ শৌচালয় লক্ষদ্বীপ-মিজোরামে, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কেমন জানেন?
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 2:49 PM

২ অক্টোবর, ২০১৪। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন ‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান’ প্রকল্পের। এই প্রকল্পে দেশে প্রায় ১০ কোটি শৌচালয় তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৮ বছর ধরে এই প্রকল্পের আওতায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে মোদী সরকাররে তরফে। বিজেপি দাবি করে, স্বাধীনোত্তর দেশে অধিকাংশ শৌচালয় তৈরি হয়েছে মোদী জমানায়। বাস্তব চিত্র কী বলছে? কী বলছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (এনএফএইচএস) সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া রিপোর্ট?

এনএফএইচএস রিপোর্ট বলছে, দেশের প্রায় ৬৯ শতাংশ পরিবারের আধুনিক শৌচালয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। অর্থাৎ যে শৌচালয়ের বর্জ্যের সঙ্গে সরাসরি সংস্পর্শ নেই মানুষের। এর ফলে কলেরা, টাইফায়েড-সহ একাধিক রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কম থাকছে এই সব পরিবারের। এই ৬৯ শতাংশের মধ্যে শহরে (১০০ শতাংশ ধরে)  ৮১ শতাংশ এবং গ্রামে (১০০ শতাংশ ধরে) ৬৪ শতাংশ পরিবার আধুনিক শৌচালয় ব্যবহার করে। অন্যদিকে, উন্মুক্ত জায়গায় শৌচকর্ম করে এখনও পর্যন্ত দেশের ১৯ শতাংশ পরিবার।

যদি ধর্ম ও জাত-পাতের ভিত্তিতে শৌচালয়ের অবস্থান দেখা যায়, সেখানেও চমকে দেওয়ার মতো পরিসংখ্যান রয়েছে। শৌচালয় ব্যবহারে অন্যান্য ধর্মের তুলনায় একটু পিছিয়ে হিন্দু ধর্মাম্বলী পরিবারগুলি। এমনটাই জানা যাচ্ছে খোদ কেন্দ্রের রিপোর্টে। দেশে সংখ্যালঘু ধর্মাম্বলী পরিবারের শৌচালয় ব্যবহার যেমন, মুসলিম- ৯০.৩ শতাংশ, খ্রিস্টান-৯১.২ শতাংশ, শিখ- ৯৭.৫ শতাংশ। অন্যদিকে হিন্দু পরিবারের শৌচালয় ব্যবহার ৮০.৭ শতাংশ। শহরে (১০০ শতাংশ ধরে) ৯৫.১ শতাংশ পরিবার শৌচালয় ব্যবহার করলেও, গ্রামে (১০০ শতাংশ ধরে) ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। মাত্র ৭৪ শতাংশ।

দেশের তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারে শৌচালয় ব্যবহারের পরিসংখ্যান উদ্বেগজনক। এনএফএইচএস রিপোর্ট বলছে, তফসিলি জাতির পরিবারে শৌচালয় ব্যবহার মাত্র ৭৬.৯ শতাংশ। তফসিলি উপজাতি পরিবারের শৌচালয় রয়েছে ৬৮.৫ শতাংশ। 

রাজ্যের নিরিখে শৌচালয় ব্যবহারে সবথেকে এগিয়ে লক্ষদ্বীপ (১০০ শতাংশ), মিজোরাম (৯৯.৯ শতাংশ), কেরল (৯৯.৮ শতাংশ), দিল্লি (৯৯.৪ শতাংশ)। তবে, গোবলয়ের রাজ্যগুলিতে পরিবারের শৌচালয় ব্যবহার এখনও পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক নয়। যেমন, উত্তর প্রদেশ ৭৮.৪ শতাংশ, বিহার ৬১.৭ শতাংশ, ঝাড়খণ্ড ৬৯.৬ শতাংশ, মধ্য প্রদেশ ৭৬.২ শতাংশ। অন্যদিকে, কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান ৭৮.৭ শতাংশ, পট্টনায়েকের ওড়িশা ৭১.৩ শতাংশ পরিবার শৌচালয় ব্যবহার করে। সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গ অনেকটা এগিয়ে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮৯ শতাংশ পরিবারে শৌচালয় রয়েছে। যার মধ্যে (১০০ শতাংশ ধরে) শহর ও গ্রামে রয়েছে যথাক্রমে ৯৭.৩ ও ৮৪.৯ শতাংশ।