অব্যাহত ‘বুলরান’! মঙ্গলবার ফের রেকর্ড গড়ল সেনসেক্স ও নিফটি

করোনা প্রতিষেধক এলে লাফিয়ে বাড়বে অর্থনীতি। সেই আসাতেই একের পর এক লগ্নি আসছে শেয়ার বাজারে।

অব্যাহত 'বুলরান'! মঙ্গলবার ফের রেকর্ড গড়ল সেনসেক্স ও নিফটি
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Nov 25, 2020 | 12:54 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: লাগাতার ‘বুলরান’! একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে শেয়ার বাজারে। ক্রমাগত উর্ধ্বমুখী দালাল স্ট্রিটের রেখাচিত্র। মঙ্গলবার সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে নিফটি (Nifty) ও সেনসেক্স (Sensex)। সেদিন নিফটি থেমেছে ১৩ হাজার পয়েন্টের চৌকাঠ পেরিয়ে। সেনসেক্সও ছুঁয়েছে ৪৪ হাজার ৬০১ অঙ্কে। যা সর্বকালের সেরা। মঙ্গলবার বাজার যখন খুলেছিল তখন সেনসেক্স ছিল ৪৪,০৭৭.১৫ অঙ্কে, নিফটি ছিল ১২,৯২৬.৪৫ অঙ্কে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সেনসেক্স ৪৪৫.৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়ে ছিল ৪৪,৫২৩.০২ অঙ্কে আর নিফটি ১২৮.৭ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছিল ১৩,০৫৫.১৫ অঙ্ক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা প্রতিষেধকের সুখবরের জেরেই বাড়ছে বাজার। করোনা প্রতিষেধক এলে লাফিয়ে বাড়বে অর্থনীতি। সেই আসাতেই একের পর এক লগ্নি আসছে শেয়ার বাজারে। যার জেরেই এই উর্ধ্বগমন। তবে করোনা প্রতিষেধকের ইতিবাচক খবরের আগেও তরতরিয়ে বাড়ছিল শেয়ার বাজার। সেক্ষেত্রে শেয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন মার্কিন নির্বাচনের পালাবদলই এর অন্যতম কারণ। ট্রাম্পের থেকে উদার নীতিতে বিশ্বাসী বাইডেন। তাঁর আমলে মার্কিন মুলুকে ব্যবসা করা আরও সহজ হবে বলে ধারণা ব্যবসায়ীদের। তাই বুলেট গতিতে বেড়েছে শেয়ার বাজার।

ভারতে ইতিমধ্যেই একাধিক করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ভ্যাকসিন এলে অন্য উন্নয়নশীল দেশের থেকে বেশি আর্থিক লাভ দেখবে ভারত। তাই দেশের বাজারে ক্রমাগত বাড়ছে লগ্নি। অনেক বেশি পুঁজি ঢালছেন বিদেশি লগ্নিকারীরাও। তাই শেয়ার বাজার ক্রমাগত বাড়ছে। বুধবার শেয়ার বাজার খুলেছে ৪৪ হাজার ৭৪৯.৭৩ অঙ্কের সেনসেক্সে। এদিন ইতিমধ্যেই ৪৪, ৮২৫. ৩৭ অঙ্ক ছুঁয়ে এসেছে সেনসেক্স। বাজার খোলার সময় নিফটি ছিল ১৩,১৩০ অঙ্কে। ইতিমধ্যেই ১৩,১৪৫.৮৫ অঙ্ক ছুঁয়ে এসেছে নিফটি। এখনও নিফটি রয়েছে ১৩ হাজারের ওপারেই।

আরও পড়ুন:গাছকে বন্ধক রাখলে সরকার দেবে বিনা সুদে ঋণ!

তবে তরতরিয়ে শেয়ার বাজার বাড়ায় সিঁদুরে মেঘও দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শেয়ার বেড়েছে খবরের উপর ভিত্তি করে। কোনও কোনও সংস্থার ক্ষেত্রে এই বৃদ্ধি বাজারের তুলনায় অস্বাভাবিক। তাই অদূর ভবিষ্যতে ধ্বস নামার আশঙ্কাও ফেলে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা।