AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ১৬ শ্রমিকই উদ্ধার, নিখোঁজ এখনও শতাধিক, নদীতে মিলল ১০ মৃতদেহ

ইতিমধ্যেই উদ্ধারাকার্য শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে ৬০০জন সেনাবাহিনীর কর্মী ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দুটি মেডিক্যাল দল ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্সও পাঠানো হয়েছে।

সুড়ঙ্গে আটকে পড়া ১৬ শ্রমিকই উদ্ধার, নিখোঁজ এখনও শতাধিক, নদীতে মিলল ১০ মৃতদেহ
উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
| Updated on: Feb 08, 2021 | 9:43 AM
Share

জোশীমঠ: কেদারনাথের স্মৃতি উসকে দিল জোশীমঠ (Joshimath)-র বিপর্যয়। তবে আট বছর আগে প্রবল বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকার্যে (Rescue operation) যে বাধার সৃষ্টি হয়েছিল, এবার রোদ ঝলমলে আবহাওয়া থাকার কারণে উদ্ধারকার্যে কোনও বাধার সৃষ্টি হয়নি। ইতিমধ্যেই উদ্ধারকার্যে নেমেছেন ৬০০ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য। এছাড়াও আইটিবিপি (ITBP), এনডিআরএফ (NDRF)-ও উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে।

সকালেই জলোচ্ছাসের কারণে অলকানন্দা নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পায়। আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দা সহ প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ জন বাসিন্দা নিখোঁজ বলে দাবি করা হয়েছে সরকারি সূত্রে।তবে অসমর্থিত সূত্রে খবর, নিখোঁজ প্রায় ৯০০-র বেশি মানুষ। দুপুরেই উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে দেরাদুন থেকে একটি ও দিল্লি থেকে চারটি দল ইতিমধ্যেই জোশীমঠের উদ্দেশে রওনা দেয়। এছাড়াও ২০০ জন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী উদ্ধারকার্যে নেমেছে সকাল থেকেই।

ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন মুখ্যমন্ত্রী তিবেন্দ্র সিং রাওয়াত। তিনি রেনি গ্রাম ও আশেপাশের অঞ্চল পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “চামোলি অবধি পৌঁছতে পৌঁছতে জলস্রোত অনেকটাই কমে গিয়েছে। দ্রুতগতিতে উদ্ধারকার্য চলছে। সরকারের তরফে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল টিম ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে। জোশীমঠের হাসপাতালে ৩০টি বেডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে আহতদের চিকিৎসার জন্য। এছাড়াও শ্রীনগর, ঋষিকেশ, জলিঘাট ও দেরাদুনের হাসপাতালগুলিকেও প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা নিজেদের সাধ্যমতো প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।”

আরও পড়ুন: জোশীমঠেও কি হতে চলেছে কেদারনাথের পুনরাবৃত্তি?

অন্যদিকে, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ডিজি এস এন প্রধান জানান, হিমবাহ ভেঙে পড়ার কারণে একটি সেতু ভেঙে পড়েছে। ঋষিগঙ্গা প্রকল্পের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চামোলি, জোশীমঠ ও অন্যান্য অঞ্চলগুলি বিপুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই উদ্ধারাকার্য শুরু করেছে সেনাবাহিনী। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে ৬০০জন সেনাবাহিনীর কর্মী ঘটনাস্থানে পৌঁছেছে। সেনাবাহিনীর সঙ্গে দুটি মেডিক্যাল দল ও একটি ইঞ্জিনিয়ারিং টাস্ক ফোর্সও পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকার্যে সাহায্যের জন্য। এছাড়াও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারের সাহায্যে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করা হচ্ছে।

উদ্ধারকার্যে হাত লাগিয়েছে আটিবিপিও। এই বিষয়ে মুখপাত্র জানান, রেনি গ্রামের কাছে একটি সেতু ভেঙে পড়ায় সীমান্তবর্তী কয়েকটি অঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হতে গিয়েছে। সকালেই তাঁরা তপোবন ও রেনি এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। আইটিবিপির ডিজি এস এস দেসওয়াল বলেন, “তপোবনের একটি বাঁধের কাছে একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে ১৬ জন ঠিকেকর্মী আটকে পড়েন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থানে পৌঁছে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে আইটিবিপির কর্মীরা, উদ্ধার করা হয়েছে আটকে পড়া ১৬ কর্মীকেই। এছাড়াও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, ওই বাঁধের কাছে প্রায় ১০০ জন কর্মী উপস্থিত ছিল। নদী থেকে এখনও অবধি ৯-১০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, নিখোঁজদের খোঁজে ২৫০ জন আইটিবিপির কর্মী ঘটনাস্থানে উপস্থিত রয়েছে, উদ্ধার কার্য চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জোশীমঠের মালারির কাছে একটি সেতু জলের স্রোতে সম্পূর্ণ ধুয়ে মুছে গিয়েছে। দ্রুত যাতে সংযোগ স্থাপন করা যায়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছেন সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই নদীর আশেপাশের গ্রামগুলি প্রায় ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।

উদ্ধারকার্যে সাহায্য করতে ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে এমআই-১৭ ও এএলএইচ ধ্রুব সহ মোট তিনটি হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজন অনুসারে আরও হেলিকপ্টার পাঠানো হতে পারে বলেই জানিয়েছে বায়ু সেনা। আজকের বিপর্যয়ের ঘটনায় উদ্ধারকার্য নিয়ে একটি বিশেষ ক্যাবিনেট বৈঠক ডাকা হয়েছে। এই বৈঠকে রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক ও ডিজিরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অসমের: মোদী