‘ভুল তথ্য প্রচার’, ‘রিজাইনমোদী’-র হ্যাশট্যাগ সরানো ঘিরে সরকারি নির্দেশের অভিযোগ নাকচ কেন্দ্রের

আচমকাই সেই হ্যাশট্যাগটি গায়েব হয়ে যাওয়াতেই আরও চটেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।ক্ষোভে ব্যবহারকারীদের একাংশ ফেসবুক বয়কটের দাবিও জানান। এরপরই ফের ট্রেন্ডিং তালিকায় ফিরে আসে পুরনো হ্যাশট্যাগটি। বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে সেই হ্যাশট্যাগটি।

'ভুল তথ্য প্রচার', 'রিজাইনমোদী'-র হ্যাশট্যাগ সরানো ঘিরে সরকারি নির্দেশের অভিযোগ নাকচ কেন্দ্রের
হ্যাশট্যগ সরানো নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
Follow Us:
| Updated on: Apr 29, 2021 | 1:05 PM

নয়া দিল্লি: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রের সমালোচনায় আগেই সরানো হয়েছিল একাধিক বিধায়ক-রাজনৈতিকদের টুইটার পোস্ট। এ বার কোপ পড়ল ফেসবুকেও। দেশে করোনা সংক্রমণ যে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের গাফিলতিকেই দায়ী করে ফেসবুকে ঝড় উঠেছিল হ্যাশট্যাগ রিজাইন মোদীর। কিন্তু ট্রেন্ডিং তালিকায় উঠে আসতেই ফেসবুক থেকে গায়েব সেই হ্যাশট্যাগ। যদিও ব্যবহারকারীদের ক্ষোভের মুখে পড়েই তিনঘণ্টা বাদে ফিরে আসে সেই হ্যাশট্যাগ। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, “ভুলবশত” আটকে দেওয়া হয়েছিল ওই টুইট। কেন্দ্রের তরফেও জানানো হয়, এই ধরনের কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি ফেসবুক সংস্থাকে।

মোদীর পদত্যাগের দাবিতে ফেসবুকে নতুন হ্যাশট্যাগ কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনেই বন্ধ করা হয়েছিল বলে ব্যবহারকারীরা দাবি করলেও ফেসবুকের মুখপাত্র অ্যান্ডি স্টোন বলেন, “ভুলবশত ওই হ্যাশট্যাগটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এর পিছনে সরকারের কোনও ভূমিকা নেই।” ফেসবুকের নিয়মনীতি বোঝাতে তিনি জানান, ফেসবুক কিছু ক্ষেত্রে ম্যানুয়ালি, আবার কিছু ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ গাইডলাইন মেনে হ্যাশট্যাগ ব্লক করা হয়। হ্যাশটাগ নয়, বরং এরসঙ্গে যে বিষয়বস্তুগুলি ছিল, তাতে সমস্যা দেখা দেওয়াতেই ওই হ্যাশট্যাগটি পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে জানায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনের উল্লেখ করে কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, “সরকারের তরফে হ্যাশট্যাগ সরানোর কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ফেসবুকের তরফেও জানানো হয়েছে যে এটি ভুলবশত সরানো হয়েছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদন যেখানে বলা হয়েছে যে বেশ কিছু হ্যাশট্যাগ ভারত সরকারের নির্দেশ ফেসবুক সরিয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং বিরূপ উদ্দেশ্যে প্রকাশিত।”

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজধানী দিল্লি সহ একাধিক রাজ্যে যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তারজন্য নেটাগরিকদের একাংশ প্রধানমন্ত্রীকেই দায়ী করেছে। তাঁদের মতে, যে সময়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ব্যস্ত থাকা উচিত, সেইসময় বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে অন্যান্য নেতা-মন্ত্রীরা। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার থেকে ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ রিজাইন মোদী-র ঝড় ওঠে।

আচমকাই সেই হ্যাশট্যাগটি গায়েব হয়ে যাওয়াতেই আরও চটেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।ক্ষোভে ব্যবহারকারীদের একাংশ ফেসবুক বয়কটের দাবিও জানান। এরপরই ফের ট্রেন্ডিং তালিকায় ফিরে আসে পুরনো হ্যাশট্যাগটি। বর্তমানেও দেখা যাচ্ছে সেই হ্যাশট্যাগটি।

এই প্রথম নয়, এর আগেও চলতি মাসেই করোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সামালোচনামূলক পোস্ট করায় একাধিক বিধায়ক সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির টুইট সরিয়ে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকায় ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ রেবানাথ রেড্ডি থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র নির্মাতা বিনোদ কাপরিও।

আরও পড়ুন: টিকা ঘাটতি নিয়ে রাজ্যগুলির দাবি কতটা সত্যি? প্রমাণ দিতে পরিসংখ্যান প্রকাশ কেন্দ্রের