হিন্দু মানেই দেশপ্রেমী, গান্ধীজীর দেশাত্মবোধের জন্মও ধর্ম থেকেই: ভাগবত কথা
মোহন ভাগবত বলেন, "যদি কোনও ব্যক্তি হিন্দু হন, তবে তিনি অবশ্যই দেশপ্রেমী হবেন। এটি তাঁর ব্যবহার বা পরিচয়ের মধ্যেই প্রতিফলিত হবে। কখনও কখনও তাঁর মধ্যে হয়তো দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে পারবেন, কিন্তু তিনি কখনওই দেশদ্রোহী হতে পারেন না।"
নয়া দিল্লি: যদি কোনও ব্যক্তি হিন্দু হন, তবে তিনি অবশ্যই দেশপ্রেমিক হবেন এবং দেশপ্রেম তাঁর চরিত্রেই থাকবে, এমনটাই দাবি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক (Rashtriya Swayamsevak Sangh) সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)-র। মহাত্মা গান্ধী(Mahatma Gandhi)-র মধ্যেও দেশাত্মবোধ তাঁর ধর্ম থেকেই এসেছিল বলে জানান তিনি। শুক্রবার জে কে বাজাজ ও এমডি শ্রীনিবাসের লেখা “মেকিং অব হিন্দু প্যাট্রিয়ট, ব্যাকগ্রাউন্ড অব গান্ধীজী’স হিন্দ স্বরাজ” বইয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেছিলেন মোহন ভাগবত। সেখানেই তিনি এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন।
বইয়ের উদ্বোধন করে মোহন ভাগবত বলেন, “গান্ধীজী বলেছিলেন তাঁর দেশাত্মবোধ ধর্ম থেকেই এসেছিল” এই মন্তব্যের ব্যাখ্যায় তিনি জানান, ধর্ম কেবল জাতপাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এর ব্যপ্তি বিশাল। হিন্দুত্ব ঐক্যে বিশ্বাসী। গান্ধীজীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী দেশাত্মবোধ ও হিন্দু ধর্মের মধ্যে কোনও ফারাক করতেন না। তাঁর কাছে ধর্মের সমর্থাক শব্দ ছিল দেশাত্মবোধ।”
আরও পড়ুন: ‘জীবন শেষ করলাম, দায়ী মোদী সরকার’, মৃত্যুর আগে বয়ান প্রতিবাদী কৃষকের
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনও ব্যক্তি হিন্দু হন, তবে তিনি অবশ্যই দেশপ্রেমী হবেন। এটি তাঁর ব্যবহার বা পরিচয়ের মধ্যেই প্রতিফলিত হবে। কখনও কখনও তাঁর মধ্যে হয়তো দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে পারবেন, কিন্তু তিনি কখনওই দেশদ্রোহী হতে পারেন না। তবে আমাদের বুঝতে হবে দেশকে ভালবাসা মানে কেবল তার মাটিকে নয়, এর অর্থ দেশের মানুষ, নদী, সংস্কৃতি, রীতিনীতি, সবকিছুকেই ভালবাসা।”
গান্ধীজীর ধর্মীয় বিশ্বাসের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ধর্মীয় পার্থ্যকের অর্থ বিভাজন নয় এবং গান্ধীজী বলেছেন যে হিন্দু ধর্ম হল সব ধর্মের ধর্ম। ” সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে গান্ধীজীকে পরিকল্পিতভাবে সব বিষয়ে অন্তর্গত করার অভিযোগের বিরুদ্ধেও তিনি আগেভাগেই সাফাই গেয়ে বলেন, “মহাত্মা গান্ধী কারোর একার নয়, তিনি একজন মহান ব্যক্তিত্ব, তিনি সবার।”
আরও পড়ুন: কুচকাওয়াজ নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসে ট্রাক্টর মিছিলের ঘোষণা কৃষকদের