সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশের অনগ্রসর অঞ্চল, ৪ গুণ বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃতের হার
বৈজ্ঞানিকদের মতে, এখনও সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছয়নি দেশ। এই পরিস্থিতিতেই অনগ্রসর অঞ্চলে মানুষ সক্রিয় করোনা রোগী প্রায় ৭.১৫ লক্ষ।
নয়া দিল্লি: প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই দেশে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। মাঝের সময়ে করোনাভাইরাসের মিউটেশন হয়ে যাওয়ায় এই ঢেউয়ে গোটা দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরগুলির চিত্র সামনে এলেও পরিসংখ্যান বলছে, দেশের অনগ্রসর শ্রেণিগুলিতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
যে জেলাগুলি অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল (Backward Region Grant Fund) দ্বারা অনুমোদন পায়, সেখানের তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মে অবধি মোট ২৭২টি জেলায় মোট ৩৯.১৬ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় চারগুণ বেশি। ২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ যখন শীর্ষ পৌছেছিল, তখনও ১৬ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী মোট ৯.৫ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও দ্বিতীয় ঢেউয়ে অনেক বেশি। বৈজ্ঞানিকদের মতে, এখনও সংক্রমণের শীর্ষে পৌঁছয়নি দেশ। এই পরিস্থিতিতেই অনগ্রসর অঞ্চলে মানুষ সক্রিয় করোনা রোগী প্রায় ৭.১৫ লক্ষ। গতবারের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায়. চারগুণেরও বেশি। গ্রামাঞ্চল বা অনুন্নত অঞ্চলে এত সংখ্যক রোগী হওয়ায় স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে, একইসঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু হারও।
তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ মে অবধি ২৪৩টি জেলা মিলিয়ে মোট ৩৬ হাজার ৫২৩টি মৃত্যু হয়েছে। গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যাটি ছিল ৯৫৫৫। অনগ্রসর রাজ্যগুলির জন্য তৈরি তহবিলের মধ্যে ৫৪ শতাংশই পাঁচটি জেলায় সীমাবদ্ধ, বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা। দেশের অধিকাংশ শ্রমিকই এই জেলাগুলির বাসিন্দা।
গতবছরের প্রথম ঢেউয়ের সঙ্গে তুলনামূলক আলোচনা করলে দেশে সংক্রমণের হার প্রায় একই রয়ে গিয়েছে, ১৮.৬ শতাংশ। কিন্তু জেলাগুলিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে চারগুণ। মৃত্যুহার বৃদ্ধিতেও জেলাগুলির সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে যেখানে ৮৩ হাজার ১৯৮ জনের মৃত্যুতে দেশের মোট মৃত্যু হার ১১.৫ শতাংশ ছিল, তা বর্তমানে বেড়ে ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে।