গ্রামে গ্রামে হানা করোনার? বস্তারে পজিটিভ ৪০ জন
একসঙ্গে ৪০ জন পজিটিভ হওয়ায় ওই অঞ্চলকে কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে জেলা প্রশাসন।
বস্তার: গ্রামে গ্রামে এখনও হানা দিতে পারেনি করোনাভাইরাস (COVID)। এতটুকু স্বস্তি ছিল, কিন্তু সেই স্বস্তিটুকুও আর থাকল না। বস্তারের ছবি দেখে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা গ্রামে গ্রামেও হানা দিতে শুরু করেছে করোনা। কারণ সেখানে একই গ্রামে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৪০ জনের। বস্তার ডিভিসনের গ্রামীণ এলাকায় এই ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ গ্রামবাসীদের কপালে।
ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াদা জেলার গাদিম ব্লক জেলা প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার থেকে ১৯ কিলোমিটার দূরত্বে। একসঙ্গে ৪০ জন পজিটিভ হওয়ায় ওই অঞ্চলকে কনটেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে জেলা প্রশাসন। স্বাস্থ্য আধিকারিকরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছেন। গ্রামবাসীরা করোনাবিধি ভেঙে একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে সকলে একসঙ্গে জড়ো হয়েছিলেন। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে বলে অনুমান। এক গ্রামবাসী পরিচয় গোপন রেখে জানান, একাধিক নিয়ম রীতি পালন করার জন্য গোটা গ্রাম একত্রিত হয়েছিল। তারপরেই অনেকের শরীরে উপসর্গ দেখা যায়। এরপর গ্রামবাসীরা গ্রামে ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেন। স্রেফ সরকারি গাড়ি গ্রামে ঢুকতে পারে।
কয়েকজনের শরীরে করোনার উপসর্গ দেখার পর দান্তেওয়াদা জেলা প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। দান্তেওয়াদা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল বৃহস্পতিবারই গ্রামের হাল-হকিকত দেখে এসেছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গ্রামবাসীরা উপসর্গ লুকিয়ে রাখছেন না। যা করোনা চিকিৎসায় অত্যন্ত সহায়ক হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছে জেলা প্রশাসন। দান্তেওয়াদা জেলায় এখন সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৩। যাতে বস্তার সুপার স্প্রেডার না হয়ে ওঠে, সেই চেষ্টাই করছেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, করোনার প্রথম ঢেউ করাল থাবা বসাতে পারেনি গ্রামীণ এলাকায়। দ্বিতীয় ঢেউ অধিক সংক্রামক হলেও আপাতত গ্রামগুলি করোনা এড়িয়ে চলছে। কিন্তু বস্তারের মতো ঘটনা চিন্তা বাড়াচ্ছে। বাড়াচ্ছে সংক্রমণ ভীতি।
আরও পড়ুন: ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে বৈঠক হর্ষ বর্ধনের