Same Gender Love: সমকামিতা এক প্রকার ব্যাধি, সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেলে তা ছড়াবে: RSS
RSS: আরএসএস-এর মহিলা সংগঠন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির অধীনস্ত এই সংগঠন দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে একটি সমীক্ষা করেছে। দাবি, সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে ‘সমকামিতা এক ধরনের ব্যাধি’। শুধু তাই নয়। সমকামী বিবাহের বিরোধিতার কথা ফুটে উঠেছে সেই সমীক্ষায়।
নয়াদিল্লি: সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শুনানি চলছে শীর্ষ আদালতে। যদিও কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও সমকামী সম্পর্কে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। পরিবর্তে বেশ কিছু সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী কেন্দ্র। এই বিষয়টি নিয়ে যখন চারিদিকে আলোচনা চলছে, তখন তা নিয়ে একটি সমীক্ষা করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শাখা সংগঠন সম্বর্ধিনী ন্যাস। আরএসএস-এর মহিলা সংগঠন রাষ্ট্র সেবিকা সমিতির অধীনস্ত এই সংগঠন দেশের বিভিন্ন চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে একটি সমীক্ষা করেছে। দাবি, সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে ‘সমকামিতা এক ধরনের ব্যাধি’। শুধু তাই নয়। সমকামী বিবাহের বিরোধিতার কথা ফুটে উঠেছে সেই সমীক্ষায়। বলা হয়েছে, সমলিঙ্গ বিবাহ স্বীকৃতি পেলে সমাজে এই ‘ব্যাধি’ আরও ছড়িয়ে পড়বে।
রাষ্ট্র সেবিকা সঙ্ঘের এক পদাধিকারী জানিয়েছেন, এই সমীক্ষার অংশ হিসাবে দেশের ৩১৮ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল এবং তাঁদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে অ্যালোপ্যাথিক থেকে আয়ুর্বেদের মতো সব ক্ষেত্রের চিকিৎসকরা রয়েছেন। সমকামিতার ব্যাপারে তাঁদের মতামতের ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেই সমীক্ষাতেই সমকামিতাকে ‘ব্যাধি’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরএসএস-এর সংগঠন বলেছে, “সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি দিলে সমাজে এই ধরনের ব্যাধি আরও ছড়িয়ে পড়বে। সাধারণ হয়ে ওঠার বদলে মানুষ এতে আক্রান্ত হবেন।” এই ধরনের ‘মানসিক রোগে আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার জন্য কাউন্সিলিং’ করানো সবথেকে ভালো উপায় বলেও উঠে এসেছে আরএসএস-এর সমীক্ষায়।
আরএসএস-এর ওই শাখা সংগঠন দাবি জানিয়েছে, ভারতে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এ নিয়ে জনগণের মত নেওয়া জরুরি। এমনকি সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির বিষয় সুপ্রিম কোর্টের খারিজ করে দেওয়া উচিত ছিল বলে এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে চলছে সমলিঙ্গ বিবাহে স্বীকৃতির দাবিতে দায়ের হওয়া একাধিক পিটিশনের শুনানি। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত গোটা দেশ।