Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Rahul Gandhi: ‘ভারতীয় সংবিধানে ভারতীয় বলে কিছু নেই’, সাভারকরের উক্তি তুলেই বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের

Parliament: সংসদে রাহুল বলেন, "কয়েকদিন আগে আমি হাথরাসে গিয়েছিলাম। যারা অপরাধী তারা পাহাড়ে ঘুরছে। নির্যাতিতার পরিবার ঘরে বন্দী হয়ে রয়েছে। তাদের ধমকি দিচ্ছে। যে ধর্ষণ করল সে বাইরে ঘুরবে, আর নির্যাতিতার পরিবার ঘরে বন্দী থাকবে এটা কোথায় সংবিধানে লেখা আছে?"

Rahul Gandhi: 'ভারতীয় সংবিধানে ভারতীয় বলে কিছু নেই', সাভারকরের উক্তি তুলেই বিজেপিকে খোঁচা রাহুলের
সংসদে বক্তৃতা রাহুল গান্ধীর।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Dec 14, 2024 | 3:32 PM

নয়া দিল্লি: রাহুল গান্ধীর মুখে সাভারকর প্রসঙ্গ। লোকসভায় সংবিধান নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সংবিধান নিয়ে সাভারকরের মন্তব্যই তুলে ধরলেন। একইসঙ্গে আদানি ইস্যু, কৃষক আন্দোলন নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন।

এ দিন লোকসভার অধিবেশনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, “সাভারকর বলেছিলেন, ভারতীয় সংবিধানের সবথেকে খারাপ বিষয় হল এতে ভারতীয় বলে কিছু নেই। আমাদের হিন্দু দেশে বেদের পর মনুস্মৃতি সবথেকে পুজিত গ্রন্থ। আমাদের সংস্কৃতি, রীতি-নীতিও তার উপরে ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। আজ মনুস্মৃতিই আইন। এটা সাভারকরের কথা। সাভারকর স্পষ্ট উল্লেখ করে গিয়েছেন যে ভারতীয় সংবিধানে ভারতীয় বলে কিছু নেই। আমরা সংবিধান মেনে চলি। বিজেপির বই হল মনুস্মৃতি। আমরা প্রতিটি মানুষকে বলতে চাই, আপনারা সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত।”

চাকরিতে ল্যাটেরাল এন্ট্রি এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল গান্ধী। কৃষক আন্দোলন নিয়ে বলেন, “কৃষকরা ফসলের ন্যায্যমূল্যের দাবি করছেন। আপনারা আদানির জন্য কাজ করছেন। আজ আন্দোলনরত কৃষকদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।”

রাহুল বলেন, “আমি আমার প্রথম বক্তব্য়েই যুদ্ধ নিয়ে বলতে গিয়ে মহাভারত, কুরুক্ষেত্রের কথা বলেছিলাম। ভারতেও যুদ্ধ হচ্ছে। এই পক্ষে (বিরোধী দল) রয়েছে তারা, যারা সংবিধানকে সংরক্ষণ করতে চায়। যদি তামিলনাড়ুকে জিজ্ঞাসা করেন, তবে পেরিয়ারের নাম বলব, কর্নাটকে বসয়ান্নার কথা বলব, মহারাষ্ট্রের সম্পর্কে বললে ফুলেজি, আম্বেদকরজির কথা বলব। গুজরাট নিয়ে বললে মহাত্মা গান্ধীর নাম বলব। আপনারা দ্বিধা করে এই সকল ব্যক্তিদের প্রশংসা করেন, কারণ আপনারা বাধ্য। আসল সত্যিটা হল আপনারা আগের মতো ভারত শাসন চান।”

কংগ্রেস নেতা বলেন, “সংবিধান বলে যে ধর্ম, বর্ণ, জাতপাত, লিঙ্গ বা জন্মস্থানের ভিত্তিতে ভেদাভেদ করা যায় না। আপনারা যেখানেই যান, সেখানে এক ধর্মের বিরুদ্ধে আরেক ধর্মকে লড়িয়ে দেন। আপনারা ঘৃণা ছড়ান। সংবিধানে কোথায় এটা লেখা আছে?”

এরপরে  ইন্ডিয়া জোটের প্রসঙ্গ টেনে রাহুল বলেন, “সংবিধানকে রক্ষা করারই ইন্ডিয়া জোটের চিন্তাধারা। আম্বেদকরজি বলেছেন, যদি রাজনৈতিক সমতা থাকে, কিন্তু সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমতা না থাকে, তবে রাজনৈতিক সমতাও নষ্ট হয়ে যাবে। আজ রাজনৈতিক সমতা শেষ হয়ে গিয়েছে। দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান দখল করে নেওয়া হয়েছে। কোনও সামাজিক সমতা নেই। সেই কারণেই আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে জাতভিত্তিক জনসুমারি।”

সংসদে রাহুল বলেন, “কয়েকদিন আগে আমি হাথরাসে গিয়েছিলাম। যারা অপরাধী তারা পাহাড়ে ঘুরছে। নির্যাতিতার পরিবার ঘরে বন্দী হয়ে রয়েছে। তাদের ধমকি দিচ্ছে। যে ধর্ষণ করল সে বাইরে ঘুরবে, আর নির্যাতিতার পরিবার ঘরে বন্দী থাকবে এটা কোথায় সংবিধানে লেখা আছে? এসব হয়তো মনুসংহিতায় লেখা আছে। ওই পরিবারকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। আজও করা হয়নি। যদি না হয়, তাহলে আমরা ইন্ডিয়া জোটের তরফে তাদের অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করব।”