প্রথম দফার ট্রায়ালের সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির, টিকা প্রস্তুতির দৌড়ে নাম লেখাল রিলায়েন্সও

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সের তৈরি এই ভ্যাকসিনটি রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে।

প্রথম দফার ট্রায়ালের সুপারিশ বিশেষজ্ঞ কমিটির, টিকা প্রস্তুতির দৌড়ে নাম লেখাল রিলায়েন্সও
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2021 | 12:42 PM

নয়া দিল্লি:  বাজারে আসতে চলেছে আরও একটি দেশীয় ভ্যাকসিন। এ বার টিকা উৎপাদন করছে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানী (Mukesh Ambani)-র সংস্থা রিলায়েন্স (Reliance)। ইতিমধ্যেই সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি প্রথম দফার ট্রায়ালের জন্য রিলায়েন্সের রিকম্বিন্যান্ট করেনা টিকা (Recombinant COVID-19 Vaccine)-র নাম সুপারিশ করেছে।

সম্প্রতিই মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সের (Reliance Life Science) তরফে প্রথম দফার ট্রায়ালের জন্য অনুমোদনের আবেদন করেছিল। শুক্রবারই সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির বৈঠকে সেই ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া(DCGI)-র অনুমোদন মিললেই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করা যাবে।

দুটি ডোজ়ের এই নতুন করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য রিলায়েন্স সংস্থার তরফে মোট ১০টি রাজ্য নির্বাচন করা হয়েছে। এরমধ্যে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশের মতো রাজ্য়গুলি রয়েছে যেখানে করোনা সংক্রমণের হারও বেশি এবং ব্য়পক প্রভাবও দেখা গিয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে।

সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সের তৈরি এই ভ্যাকসিনটি রিকম্বিন্যান্ট প্রোটিনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। হায়দরাবাদের টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি কর্বেভ্যাক্স ভ্যাকসিনের সঙ্গে অনেকাংশে মিল রয়েছে রিলায়েন্সের এই ভ্যাকসিনের।

এখনও অবধি ভারতে মোট ছয়টি ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে। সেরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের পাশাপাশি রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, মডার্না, জ়াইডাস ক্যাডিলা ও জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল ডোজ়ের ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে।

এ দিন সকালেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য়মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক জনগণের মধ্যে ৫০ শতাংশই করোনা টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশের সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্র। বর্তমানে যে হারে করোনা টিকাকরণ চলছে, সেই গতি ধরে রাখতে পারলে বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব।

টিকাকরণের শুরুতে কিছুটা টিকার ঘাটতি দেখা দিলেও বর্তমানে একাধিক টিকা অনুমোদন পাওয়ায় টিকা সঙ্কট দেখা যাবে না এবং দ্রুত টিকাকরণ সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

শিশুদের টিকাকরণের জন্যও দেশে ইতিমধ্যেই কোভ্যাক্সিনের টিকার ট্রায়াল চলছে। গত ২০ অগস্টই জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভিত্তিক ও সূচ বিহীন জ়াইডাস ক্যাডিলার করোনা টিকা। জ়াইকোভ-ডি নামক এই ভ্য়াকসিনটি  ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদেরও টিকা দেওয়া যাবে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পুজোর মাস অর্থাৎ অক্টোবরেই সংক্রমণ শীর্ষে উঠতে পারে। সঠিক সতর্কতা অবলম্বন না করলে দৈনিক পাঁচ থেকে সাত লক্ষ মানুষও করোনা আক্রান্ত হতে পারে। যদিও NTAGI-র অধিকর্তা এনকে অরোরা একটি সেরো সার্ভে তুলে ধরে জানান, শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বরং শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য শীঘ্রই স্কু-কলেজ খুলে দেওয়া উচিত। আরও পড়ুন: আত্মনির্ভর ভারত গড়ার স্বপ্নে নয়া উড়ান, ওএনজিসির হাতে প্রথম তৈল উত্তোলক রিগ তুলে দিল মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং