Kulgam Encounter : জঙ্গি দমনের আগে কুলগাম থেকে চুপিসারে পড়ুয়া সহ ৬০ জনকে নিরাপদ স্থানে সরাল সেনা
Jammu and Kashmir : যে জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে, সে হিজবুল মুজাহিদিনের এক কমান্ডার। সেখানে আরও দুই জঙ্গি এখনও লুকিয়ে আছে বলে অনুমান করছেন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
শ্রীনগর : ফের উত্তপ্ত উপত্যকা। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় আশমুনজি এলাকায় এক জঙ্গি দমন অভিযান শুরু করেন জওয়ানরা। অভিযানের মধ্য়েই এলাকা থেকে বেশ কয়েকজন খুদে স্কুল পড়ুয়া সহ অন্তত ৬০ জন গ্রামবাসীকে উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছেন জওয়ানরা। এনকাউন্টার চলাকালীন এক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, যে জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে, সে হিজবুল মুজাহিদিনের এক কমান্ডার। সেখানে আরও দুই জঙ্গি এখনও লুকিয়ে আছে বলে অনুমান করছেন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
কাশ্মীরে সেনার হাতে পর পর বড়সড় সাফল্য। দুদিন আগেই স্থানীয় জঙ্গি গোষ্ঠী দা রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-এর শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে খতম করেছেন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগামে পোমবে এবং গোপালপোরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ওই জঙ্গি নেতাকে নিকেশ করেন জওয়ানরা। সেদিনের এনকাউন্টারে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা আরও চার জঙ্গিকে খতম করেছেন। অভিযানে আফাক সিকান্দর নামে দা রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্টের এক কমান্ডারকে খতম করে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী। কাশ্মীর পুলিশের আইজিপি বিজয় কুমার আজ এক টুইটে ওই জঙ্গি কমান্ডারের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আজ শেষ বেলায় কুলগামের আশমুনজি গ্রামে অভিযান চালান নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। জওয়ানদের কাছে খবর ছিল, ওই দুই গ্রামে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে জঙ্গিরা। অভিযানের শুরুতেই আশমুনজি গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন পড়ুয়া সহ অন্তত ৬০ জন গ্রামবাসীকে সেখান থেকে উদ্ধার করে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুরু হয় গুলির লড়াই। সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত হিজবুল মুজাহিদিনের এক জঙ্গি কমান্ডারকে খতম করা হয়েছে। গ্রামে আরও দুই জঙ্গি গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন জওয়ানরা। বাকি জঙ্গিদের খোঁজে অভিযান এখনও চলছে।
সম্প্রতি শ্রীনগরের হায়দারপোরায় এক সেনা অভিযানে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, যে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে দুজন জঙ্গি এবং বাকি দুজন ব্যবসায়ী। ওই দুই ব্যবসায়ী জঙ্গিদের মদত দিচ্ছিল বলে অভিযোগ।
নিহত দুই ব্যবসায়ীর নাম মুদাসির গুল এবং আলতাফ ভাট। শ্রীনগরের হায়দারপোরা এলাকায় কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সে তাদের দোকান ছিল। জানা গিয়েছে, মুদাসির গুল দাঁতের ডাক্তারি প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। হায়দারপোরায় তার একটি কম্পিউটার সেন্টার ছিল। আর আলতাফ ভাট হায়দারপোরার ওই কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের মালিক। এছাড়া হার্ডওয়্যার এবং সিমেন্টের দোকানও ছিল একটা।