Rajnath Singh: ‘এই নতুন ভারত প্রত্যাঘাত করতে জানে’, ভোটমুখী দেবভূমে দেশপ্রেমেই বাজি বিজেপির
Uttarakhand BJP: দেবভূমিতে আজ বিজেপির হয়ে 'দেশপ্রেমে'র তাস খেলে গেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। বললেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি পরিস্থিতি যদি পাকিস্তান নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাহলে 'নতুন এবং শক্তিশালী ভারত' তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি।
পিথোরাগঢ় (উত্তরাখণ্ড): আগামী বছরেই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে নিজেদের পায়ের তলার মাটি আরও শক্ত করতে তৎপর বিজেপি শিবির। বার বার দিল্লি থেকে দেবভূমিতে উড়ে যাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের প্রথম সারির নেতারা। আর এরই মধ্যে ভোটমুখী উত্তরাখণ্ডে শহিদ সম্মান যাত্রা শুরু করেছে বিজেপি। কিছুদিন আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এই কর্মসূচির উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। আর এবার রাজনাথ সিং। দেবভূমিতে আজ বিজেপির হয়ে ‘দেশপ্রেমে’র তাস খেলে গেলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। বললেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি পরিস্থিতি যদি পাকিস্তান নষ্ট করার চেষ্টা করে, তাহলে ‘নতুন এবং শক্তিশালী ভারত’ তার যোগ্য জবাব দিতে তৈরি।
আজ উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগঢ়ে বিজেপি শহিদ সম্মান যাত্রার নেতৃত্ব দেন রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি বলেন, “ভারতের শান্তি পরিস্থিতি বিঘ্নিত করতে পাকিস্তান সবরকমভাবে চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা তাদের স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছি, যদি এমনটা হয়, তাহলে ভারতও প্রত্যাঘাত করবে। এটাই নতুন এবং শক্তিশালী ভারত।” একইসঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে যদি কেউ শহিদ হন, তাহলে তাঁর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণের টাকাও বাড়ানো হয়েছে বলে জানান রাজনাথ সিং। বলেন, “এর আগে যুদ্ধক্ষেত্রে কেউ শহিদ হলে ২ লাখ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হত। এখন তা চার গুণ বাড়ানো হয়েছে। এখন কেন্দ্র ৮ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়।”
কিছুদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের চামোলিতে গিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেখানে শহিদ সম্মান যাত্রার উদ্বোধন করেন তিনি। একইসঙ্গে কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে নাড্ডা বক্রোক্তি করেছিলেন, “জওয়ানরা বহু বছর ধরে অবহেলিত। তাঁদের কোনও কথা শোনা হয়নি এতদিন। বরং এই দল (কংগ্রেস) শহিদ জওয়ানদের বলিদান এবং দেশপ্রেম নিয়ে মজা করেছে।” চামোলিতে শহিদ সম্মান যাত্রার উদ্বোধনে এসে জে পি নাড্ডা বলেন, এই দেশকে ‘বীর ভূমি’ বলতে পেরে তিনি অত্যন্ত গর্বিত।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষ ভাগে উত্তরাখণ্ডের উপর বাড়তি নজর দিচ্ছে বিজেপি। দেবভূমি উত্তরখণ্ডে নভেম্বর এবং ডিসেম্বরে একের পর এক ঠাসা কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডা আগেই ঘুরে গিয়েছেন। এবার রাজনাথ সিং। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষও দেরাদুন যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
উত্তরাখণ্ড বিজেপির মুখপাত্র সুরেশ যোশী সম্প্রতি জানিয়েছিলেন, “নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে বিজেপির রাজ্য কমিটির বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কোন পথে লড়বে বিজেপি, কী কী ইস্যুতে ভোট ময়দানে নামা হবে, সেই সব কিছুর নীল নকশা তৈরি হতে পারে ওই বৈঠক থেকে। দলীয় সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।