Navjot Singh Sidhu: কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়ায় মোদীর প্রশংসায় সিধু

Kartarpur Corridor: কর্তারপুর খোলা নিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, একইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভূমিকারও প্রশংসা করেন নভজ্যোৎ সিং সিধু।

Navjot Singh Sidhu: কর্তারপুর করিডর খুলে দেওয়ায় মোদীর প্রশংসায় সিধু
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 20, 2021 | 6:29 PM

চণ্ডীগঢ়: খুলে গিয়েছে কর্তারপুর করিডর। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৭ নভেম্বর (বুধবার) থেকে খুলেছে কর্তারপুর করিডর। শিখ সম্প্রদায়ের জন্য এই কর্তারপুর ভীষন পবিত্র এক তীর্থস্থান। এখানেই দেহত্যাগ করেছিলেন গুরু নানক। কর্তারপুর খোলার পর সেখানে গিয়েছিলেন পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধু। আর সেখান থেকে ফিরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি।

কর্তারপুর খোলা নিয়ে শুধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই নন, একইসঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভূমিকারও প্রশংসা করেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। প্রদেশ সভাপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের যৌথ উদ্যোগের কারণেই কর্তারপুর করিডর খোলা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। পাকিস্তানের কর্তারপুর গুরুদ্বার দরবার সাহিব থেকে ঘুরে আসার পর গুরদাসপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা বলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু।

নভজ্যোৎ সিং সিধু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রচেষ্টায় কর্তারপুর সাহিব করিডোর পুনরায় চালু করা সম্ভব হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “আমি অনুরোধ করছি যে আপনি যদি পঞ্জাববাসীর জীবন পরিবর্তন করতে চান তবে আমাদের সীমান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য খুলে দেওয়া উচিত। কেন আমাদের ২ হাজার ১০০ কিলোমিটার অতিক্রম করে মুন্দ্রা বন্দরে যেতে হবে? এখান থেকে কেন নয়, এখান থেকে স্থলবন্দরটি মাত্র ২১ কিলোমিটার। ”

এদিকে পঞ্জাব কংগ্রেসে অস্বস্তি যেন কিছুতেই কমার নয়। বৃহস্পতিবারই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা কর্তারপুর সাহিবে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিনিধি দলে রাখা হয়নি পঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোৎ সিং সিধুকে। আর তাই তিনি একাই চলে গিয়েছিলেন কর্তারপুরে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে কর্তারপুর করিডর খোলা হলেও করোনা সংক্রমণের কারণে মাত্র চার মাসের মধ্যেই সেই করিডর বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রায় দেড় বছরের ব্যবধানের পর ফের একবার খুলতে চলেছে এই করিডর। গত ১৫ নভেম্বরই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ওই করিডর খুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ জন করে পুণ্যার্থীকে যেতে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান-দুই দেশের কাছেই পুণ্যার্থীদের তালিকা জমা দেওয়া হবে দৈনিক ভিত্তিতে। তবে ১৯ নভেম্বর গুরু নানক জন্মজয়ন্তী থাকায় সেদিন পুণ্যার্থীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

কর্তারপুর সাহিব করিডর ব্যবহার করে যারাই পাকিস্তানের গুরুদ্বারে যাবেন, তাদের নিয়মিত তাপমাত্রা পরীক্ষা ও স্যানিটাইজ়েশনের দিকে নজর রাখা হবে। সমস্ত পুণ্যার্থীদেরই সর্বদা মাস্ক পরে থাকতে হবে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। করোনা টিকার শংসাপত্র ছাড়াও যাত্রার ৭২ ঘণ্টা আগে করানো আরটি-পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্টও দেখাতে হবে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানে পৌঁছে পুণ্যার্থীদের ফের একবার ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হতে পারে। যদি কারোর মধ্য়ে করোনার উপসর্গ দেখা যায়, তবে তাঁকে আইসোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন : Varun Gandhi likely to join TMC: জার্সি বদলাবেন বরুণ গান্ধী? মমতার সঙ্গে মানেকা-পুত্রর সাক্ষাৎ জল্পনা